হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি টোকাই।
শোষণের নীল নকশায়,
ঘুড়ির মতো উড়ে বেড়াই,
অদৃশ্য হাতে সে লাটাই।
জুলুম আর নিপীড়নে
দিন-রাত পথেই কাটাই,
কাঁটে সময় খাদ্য আহরণে,
না পেলে থাকি ভুখাই।
আমারো যে দুয়ার ছিল,
ছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই,
জমি ছিল, লাঙল ছিল,
গোলা ভরা ধান আজ নাই।
মায়ের বুকেতে আদর ছিল,
সুন্দর একটা নামও ছিল,
ভাই ছিল, বোন ছিল,
ছোট্ট টেবিলটায় বই ছিল।
মহাজনের হিসাব চুকাতে,
প্রকৃতির করাল করাঘাতে,
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস—
আমি যে টোকাই আজ।
আমাকে নিয়ে পণা করো,
খিস্তি-খেউরের গান গড়ো,
মহা সমাবেশের মাঠ ভরো,
ভাষণে আবার ব্যঙ্গ করো!
মানুষে মানুষে বিভাজন এঁকে,
টোকাই নামটা কলমে লিখে,
জ্ঞানপাপী, তুই মানুষ নারে,
লজ্জাও আজ লাজে মরে।
তুমি বাবু-সাহেব বলেই
আমি যে আজ টোকাই।
বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে শুকাই—
মেনেছিতো, আমি যে টোকাই।
আবৃত্তির স্ক্রিপ্টঃ
(ধীরে, হালকা বিষণ্ন গলায়)
হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি টোকাই।
শোষণের নীল নকশায়,
ঘুড়ির মতো উড়ে বেড়াই...
(একটু থেমে)
অদৃশ্য হাতে সে লাটাই!
(বেদনার ভারে ধীরে ধীরে)
জুলুম আর নিপীড়নে—
দিন-রাত পথেই কাটাই।
কাঁটে সময় খাদ্য আহরণে,
না পেলে... থাকি ভুখাই।
(মুছে যাওয়া স্মৃতির আবেগে)
আমারো যে দুয়ার ছিল,
ছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই...
জমি ছিল, লাঙল ছিল,
গোলা ভরা ধান আজ নাই!
(একটু কোমল গলায়, স্মৃতিময় সুরে)
মায়ের বুকেতে আদর ছিল,
সুন্দর একটা নামও ছিল...
ভাই ছিল, বোন ছিল,
ছোট্ট টেবিলটায় বই ছিল!
(স্বরে বিষণ্নতা বাড়িয়ে, ক্ষীণ হতাশা)
মহাজনের হিসাব চুকাতে,
প্রকৃতির করাল করাঘাতে...
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস—
আমি যে টোকাই আজ!
(সাবলীল কিন্তু ব্যঙ্গপূর্ণ স্বরে)
আমাকে নিয়ে পণা করো!
খিস্তি-খেউরের গান গড়ো—
মহা সমাবেশের মাঠ ভরো,
ভাষণে আবার ব্যঙ্গ করো!
(দৃঢ়তা ও প্রতিবাদী সুরে)
মানুষে মানুষে বিভাজন এঁকে,
টোকাই নামটা কলমে লিখে...
(স্বরে রাগ ও লজ্জার সংমিশ্রণ)
জ্ঞানপাপী, তুই মানুষ নারে!
লজ্জাও আজ... লাজে মরে।
(শেষ স্তবক: ধীরে ধীরে জোর বাড়িয়ে আত্মসম্মানবোধে ভরা কণ্ঠে)
তুমি বাবু-সাহেব বলেই—
আমি যে আজ টোকাই!
বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে শুকাই...
মেনেছিতো— আমি যে টোকাই!
(শেষ লাইনটি উচ্চারণের পর থেমে একটু তাকিয়ে থাকা বা নীরবতা রেখে মঞ্চ ত্যাগ করার পরামর্শ থাকলো, যেন শ্রোতার মনে অভিঘাত তৈরি হয়।)