শ্রমিকের ঘামেই গড়ে ওঠে আমাদের সভ্যতা,
হাতুড়ি-শাবলে গাওয়া জীবনের সেই বারতা।
মে দিবস কেবল ইতিহাস নয়,
বরং দলিতের মর্যাদার পরিচয়।
মেশিনের নিচে যেন চাপা না পড়ে কোনো স্বপ্ন,
হালাল পেশায় তাদের ভাগ্য হোক সুপ্রসন্ন।
যেন কোনো কণ্ঠ আর না থাকে সুপ্ত,
মালিক-শ্রমিক সৌহার্দ্য হোক নিবেদিত।
শ্রমের মর্যাদা করে নিক স্থান পাঠ্যপুস্তকে,
শুরুতেই শিখুক শিশুরা প্রতিটি পদক্ষেপে।
যারা গড়ছে ইট-সিমেন্টে স্বপ্নের শহর,
তাদের নিয়েই সাজুক বর্ণমালার বহর।
উন্নয়নশীল বর্তমান বিশ্বের করণীয় এই—
ন্যায্য মজুরি পাক নারী-পুরুষ সকলেই।
শিশুর হাতে না যেন থাকে ফোসকার দাগ,
আজকের শিশুরাই জাতির স্বপ্নের অগ্রভাগ।
নারী শ্রমিকের নিশ্চিত হোক সুরক্ষা, সম্মান,
তাঁদেরও ঝরে ঘাম—শ্রমটাও সমানে সমান।
মানবিক হোক বিশ্ব, হোক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন,
স্লোগান বা দেয়াল লিখন নয়—চাই মূল্যায়ন।
শ্রমিক মানেই নয় রক্ত-পানি করা ঘাম,
চুকাতে হবে তিল তিল করে তাঁদের শ্রমের দাম।
নিশ্চিত করি শ্রমিকের অধিকার আর সম্মান,
একাত্মতা ঘোষণা করে আসুন হই মহীয়ান।
হে বিশ্ব, তুমি কি শুনতে পাও এই আহ্বান?
শ্রমিক চায় ন্যায্যতা—not pity, just a fair plan.
তাই মে দিবসে নয় কেবল মিছিল বা গান—
চলো, গড়ি এমন বিশ্ব—যেখানে সবাই সমান।