দেশ অরক্ষিত, স্বাধীনতা আজ অর্থহীন
বন্দুকের নলের ভিতর গনতন্ত্র বাকরুদ্ধ,
হায়নাদের বর্বরতায় লুন্ঠিত মানবাধিকার।
ক্ষমতার ধাfম্ভকতা আর প্রতিশোধের নেশায়-
চলছে নির্মূলের রাজনীতি ও হত্যার মহোৎসব,
যেন স্বাধীন দেশে আরেক নব্য একাত্তর।
অর্থনীতির চাকা অচল, কৃষকের মাথায় হাত,
দিন মজুররা কাতরাচ্ছে অনাহারে অর্ধাহারে,
শোষক লুটেরা করছে লড়াই মসনদ নিয়ে,
দেশে চলছে এক নিরব দুর্ভিক্ষ।
দিগন্তে থেকে দিগন্তে ছড়াচ্ছে দাবানল,
প্রতিবাদী কন্ঠে সহিংসতার বিষবাষ্প,
বার্ণ ইউনিটে দগ্ধিত মানুষের মরন যন্ত্রনা,
বাতাসে নির্যাতিত মানুষের চিৎকার,
চারদিকে ম্যাসাকার মানবতা কাঁদছে,
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।
হাজার শহীদ আর বীরসেনানী-
ফাসিঁর মঞ্চে গেয়ে যাচ্ছে জীবনের গান,
তাদের স্মরনে বিনম্র গভীর গুটা জাতি।
যারা এই রক্তমাখা মাটির ললাট ছুঁয়ে-
একদিন বাংলার স্বাধীনতা এনেছিলো,
আমরা ভুলিনি তাদের আত্মবিসর্জন।
তাদের আত্মা আজ কি বলবে ?
তবে কি শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি ?
আইন রক্ষকরাই যখন ভক্ষেকের বেশে,
হত্যা গুম হয় তখন আইনের পোষাকে,
মানবতা আর মানবাধিরের ঘটে অপমৃত্যু।
তারপরও একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবিরা-
স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসায় ব্যস্ত।
সারাদেশ আজ একটি কারাগার,
মুক্তির অন্বেষায় মানুষ করছে হাহাকার,
তারপরও মানবাধিকারীদের চোখ অন্ধ।
গোটা-কয়েক লেন্দুপ দর্জীর কারণে-
স্বাধীনবাংলা আজ ষড়যন্ত্রের জালে আবদ্ব।
যে স্বাধীনতা লাখ শহীদের একমাত্র স্বপ্ন,
আমার ভাইয়ের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল,
ও ধর্ষিতা বোনের লাল সবুজের পতাকা,
সে সাধীনতা আজ ভিনদেশী শকুনদের খাদ্য।
তবুও মুক্তির জোয়ারে ভেসে যাবে,
অত্যাচারীর শত শৃঙ্খলীত দেয়াল।
ঠোঁটে মুখে আজ তাদের প্রতিঙ্গা প্রত্যয়,
নির্মল বাতাসে আসছে শান্তির আবাস,
দূর্বার আন্দোলনে আসবে কোলাহল,
পরাজয়ের শিকল ভেঙ্গে ফিরবে স্বাধীনতা।