জীবনের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে অতল গহ্বরে যে পৌঁছে গিয়েছো সে কথা কি অনুমান করতে পারো?
বেঁচে আছো নাকি মরে গিয়েছো বুকে হাত দিয়ে একবার বলো তো।


এক টুকরো নিষিদ্ধ সুখের খোঁজে এক পাহাড় সম্পদ করেছো খরচ,
জলাঞ্জলি দিয়েছো হাতের নাগালে থাকা বিরাট রাজত্ব,
তিলে তিলে নিজেকে বিকিয়ে দিয়েছো গঞ্জের হাটে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, আজো তোমার বুঝে আসে নি তুমি যে একেবারে নিঃস্ব ভিখারিদের দলে।


জীবনের সুন্দর বাগানটাকে ধ্বংস করেছো নিজের হাতে
ছিঁড়ে ফেলেছো মৌসুমী অমৌসুমী সমস্ত ফুল,
মাটিতে গুড়িয়ে দিয়েছো সকল ফলদ বৃক্ষ।


আর কী বোধোদয় হবে না কখনো, ভাঙবে না কী জানা-অজানা ছোট বড় ভুলগুলো!
ফিরে আসবে না কী জীবনের প্রশস্ত মহাসড়কে!
হয়তো হ্যাঁ, হয়তো না,
বড় আশ্চর্য, বড় অদ্ভুত জীবনের মহাকাব্য।