যেদিন আমি আমার সব সম্পদ খুয়িয়ে পথে বসেছিলাম
জরা জীর্ণ পোশাকে,
ফুটপাথের পাশে ঐ আবর্জনাবহুল স্থানে বেঁধেছিলাম বাসা,
পথিকেরা যেত এ পথে আর
ঘৃণাভরে এক পলক তাকিয়ে
মুখ ফিরিয়ে নিতো বারবার,
সে দিন করুণার হস্ত বাড়িয়ে বাঁচালে আমায়;
হাত ধরে বললে-
চলো, তোমাকে আমি নিয়ে যাব
ধানশালিকের দেশে,
ঠিক সে দিনও আমি বুঝি নি-
কে তুমি! কিবা তোমার পরিচয়!


এই তো সে দিন, বছর কয়েক আগে,
অনর্বরত কুঠারাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করেছি এ দেহ,
আমি নিজেই;
ভেঙে ফেলেছি নিজ গৃহ স্বহস্তে;
আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে আপনার সমস্ত সম্পদ-স্তূপে
খিলখিল করে হেসেছি।


বার বার আমি এরূপ করেছি।
তবুও তুমি ক্ষুদ্ধ হও নি,
শুধু মুচকি হেসেছ।
অবশেষে যখন অন্ধকার বিভীষিকাময় রজনী আসছিল ধেয়ে
করুণার হস্ত তুমি বাড়ালে, প্রিয়।
নিয়ে এলে আমায়
ধানশালিকের দেশে,
লিখে দিলে এক নতুন ভূমি।


প্রিয়, আমি এক আনাড়ি চাষী,
শস্য কণা তো ফলাতে পারি নি তেমন;
আর সব চাষীরা তোলেছে
গোলা ভরা ধান,
ধান আমি ভরাতে পারব না মন;
তাই আজো আমি তোমার করুণার ভিখারি।