একদিন শরীরে মাছি তাড়াবার ক্ষমতাও থাকবে না,
শুধু নির্বিকারভাবে শুয়ে থাকবে,
না, না পড়ে থাকবে ফ্লোরের বিছানায়।
কানের কাছে মশা এসে প্যান প্যান করে গান গাইবে
কিন্তু মেজাজটা আর চড়াও হবে না।
প্রিয়জনেরা কাঁদবে, হাউমাউ করে কাঁদবে,
তবুও সোজা হয়ে বসে সান্ত্বনা দেবার শক্তি থাকবে না।


আজকের এই ক্ষমতার দাপট
বাঘের মতো হুঙ্কার কিংবা সিংহের মতো গর্জন,
হায়েনার মতো হামলা কিংবা সাপের মতো দংশন,
ভূমিকম্পের মতো মেজাজ কিংবা
সাইক্লোনের মতো প্রতিশোধ-প্রতিঘাত
সব নিমেষেই খতম হবে; নিস্তেজ হয়ে যাবে সমস্ত শরীর।


কথায় কথায় চোখ রাঙিয়ে, "চিনিস আমি কে!
তোকে আমি দেখে নেব, আলবৎ দেখে নেব!
ঐ! তোর হাড়গোড় আমি ভেঙে দেব।"
-এসব মুখস্থ বুলি মুখ দিয়ে আর আসবে না সেই দিন।


ভাগ্য ভালো হলে, একটি সাদা কাফনে মুড়িয়ে
তোমাকে রেখে আসা হবে কবরে;
আর ভাগ্য মন্দ হলে তাও জুটবে না কপালে।
দুর্ঘটনায়, আগুনে পুড়ে কিংবা পানিতে ডুবে
মরা মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।