যখন বৃদ্ধলোকটি অসহায়ভাবে হাত পাতলো,
আমি তড়িঘড়ি পকেটে হাত ঢুকাই,
খুব আয়েশ করে মানিব্যাগটি বের করে
ভাংতি টাকা খুঁজতে থাকি।
আজকাল মানিব্যাগে ভাংতি টাকা থাকে না,
দশ টাকার নোট থেকে শুরু করে
হাজার টাকার নোট থাকে সেখানে।
মানিব্যাগটি বেশ মোটা আর ভারী
টাকার সাথে কিছু দরকারি কাগজপত্রও রাখি সেখানে।
অনেক খোঁজাখুঁজি করে একটি পাঁচ টাকার নোট পেলাম না,
দশ টাকার নোট অবশ্য কয়েকটি ছিল,
কিন্তু দশ টাকা দিতে একটু ব্যথা ব্যথা লাগছিল বুকের ভিতর।
অবশেষে একটি দুই টাকার নোট গুঁজে দিলাম
অসহায় বৃদ্ধ চাচার হাতে।


খানিক বাদে বন্ধু রমিজের সাথে দেখা,
ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বাবার আদরের দুলাল,
সুযোগ পেলেই বাড়িতে চলে যায়,
সপ্তাহ খানেক বাড়িতে থেকে আবার ঢাকায় ফিরে আসে।
রমিজকে নিয়ে কাশেম ভাইয়ের দোকানে গেলাম,
এক কাপ চা খাওয়ার দরকার।
দুপুরে আজ খিচুড়ি আর মাংস ভুনা খেয়েছি,
পেটটা একটু ভরা ভরা লাগছে,
কিছু খাওয়ার চাহিদা ছিল না,
তবুও বন্ধুর সাথে চট করে এক প্লেট নুডলস খেয়ে নিলাম।
তারপর কড়া করে এককাপ চা।
সর্বশেষ, রমিজের উঠার আগেই তার চোখ রাঙানিকে টেক্কা দিয়ে  পঞ্চাশ টাকার বিল পরিশোধ করে দিলাম।