বইগুলোর উপর জমে থাকা ধুলোর আস্তরণ
সহজেই বলে দেয় কতটা নিষ্ঠুর সময় যাচ্ছে এখন,
কতটা বদলে গিয়েছি আমরা
সময়ের উৎপাদনশীলতা কতটা নিচে নেমে গিয়েছে।


অলসতা আজ খুব করে জাপটে ধরেছে আমাদেরকে,
সভ্যতার এই ক্রান্তিকালকে আমরা ভেবে নিয়েছি আশীর্বাদ,
যেন একটু অলস হবার ফুসরত পেয়েছি,
একটু অকর্মণ্য কিংবা অনুৎপাদনশীল হবার পেয়েছি অবসর।


দিনগুলো কেটে যাচ্ছে নিমেষেই,
অনলাইনে থেকে থেকে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে
সুবহে সাদিকের সময় ঘুমাতে যাওয়া এখন জাতীয় অভ্যাস,
চোখগুলো বোধ হয় বেশিদিন টিকবে না,
কানগুলো শোঁ শোঁ করে
শুয়ে থেকে থেকে মাথাটা ভার হয়ে থাকে প্রতিদিন।
ধর্মগ্রন্থটিও পড়ে আছে খুব অনাদরে
সেটিতেও জমেছে ধুলোর এক মোটা আস্তরণ,
বসে থেকে শান্তি নেই, শুয়ে থেকে শান্তি নেই,
ঘুমিয়ে শান্তি নেই, জেগে থেকে শান্তি নেই,
এক অনাকাঙ্ক্ষিত অসুখ দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে যেন আমাদের পিছু নিয়েছে।


বিগড়ে যাচ্ছে আমাদের বোধ, বিগড়ে গিয়েছে মেজাজ,
মা এসে কথা বলেন, কান দিয়ে শুনি
কিন্তু মনোযোগ অন্য কিছুতে
মায়ের চোখে চোখ রাখার অবসর নেই।


কী এক ক্রান্তিকাল পেয়ে বসেছে আমাদেরকে!
আমরা নির্বোধ নই, সমস্ত পরিণতি আমাদের চোখের সামনে,
বিবেক আমাদেরকে ফিরানোর চেষ্টা করে,
কিন্তু সে অতিশয় জীর্ণশীর্ণ আর দুর্বল,
আমরা হার মেনে যাচ্ছি সময়ের কাছে খুব সহজেই,
একটু দৃঢ় প্রতিজ্ঞার অভাবে।