অসঙ্গতির সাংঘাতিক আচরণ
                সাহেদ আহামেদ
            
ধরলার পাড়ে অপেক্ষায় ক্লান্ত গোধূলি
যে পথে বিকেলের জনশূণ্যতা নির্যাতিত।
হাত ধরার সাজা ছ'মসের ফাঁসি আর
ভালোবাসি বললে হাজার টাকা দন্ডি,
সে পথে পাঞ্জাবীটার বা'দিকটা বড্ড দূর্বল
বাদ দাও সে কথা অন্যকোন দিন হবে।


জানো ভীষণ জানতে ইচ্ছা করে
মাঝরাতে চা কর সেই নিদ্রাহীন পাকঘরে?
একলা রাতের আকাশ দেখ বাড়ির ছাদে?
আবেগটা বড্ড হানা দেয় কৌতুহল চরে।
বুড়িগঙ্গার চোখে রুমাল বেঁধে ইচ্ছেগুলো
বাকরুদ্ধ, নোনাধিক বার অশ্রু খসে।


অসঙ্গতি ফাগুনের খিটখিটে মেজাজ
বসন্তের দরজায় দাড়িয়ে কেড়ে নিয়েছে
সহস্রাধিক সাংঘাতিক সব প্রেমে পড়া।
বন্ধ যে চোখে চন্দ্রমল্লিকা ভাসতো?
সে চোখের উঠানে নৃত্য করে একাকীত্ব।


অভিমানের খোঁটায় আবেগ বাঁধা অসম্ভব।
অভিমানের পকেটে শ'পাঁচেক টাকা গুজে
ইচ্ছে করে নাকালের মতো ছুটে আসি,
ভুলে যাই তিস্তা আর বুড়িগঙ্গার ব্যাবধান।


কিন্তু রাতের উঠানে বিষাদ সালিশে বসে
প্রাপ্তির খাতে শতাব্দীর বকেয়া দেখিয়ে
মিটিয়ে দিয়েছে গোলাপ কেনার ঝোঁক,
সান্ত্বনার পথে প্রাপ্ত নিযুত বর্গমাইল দূরত্ব।


বরাবরই অংকে কাচা হলেও
হিসাবটা আমাকেই রাখতে হচ্ছে।


পাঞ্জাবীটা প্রতিপক্ষের মতো তর্ক করে
এ'বেলা ঘামে ভিজে ওবেলায় হয় না ক্ষান্ত,
বিষাদের জোৎস্না নীরবে রৌদ্রে পোড়ে
গোটা উঠান পায়চারি করে হয় না ক্লান্ত,
নীরবতার তান্ডবজ্ঞান বলে কিচ্ছু নেই  
দীর্ঘশ্বাসে আল্পনা আঁকে দেয়ালের এপ্রান্ত।


শুক্রবার রাত ০৩:১৪ মিনিট
০৮ ভাদ্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ২৩ আগস্ট ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ, সড়ক জনপদ স্টাফ কোয়ার্টার শূন্য কুঠির,
আগানগর কাঠুরিয়া, কেরানীগঞ্জ ঢাকা বাংলাদেশ।