নবলতা, কেমন আছো?
সুখের ঠিকানাটা নিশ্চয় ফুলময় চাঁদনী রাত,
সোহাগের সরোবর টলটলে শ্রাবনের
উতলা প্রেম,
উথলে ওঠা সুখ তোমাকে স্নান করায়
এখনো পলে পলে?


নবলতা, এখনো বিনিদ্র আমি,
খুঁজে ফিরি আজও
উথাল হৃদয়ের চুপ কথা,
আমার হৃদয় বীণায় বেজে ওঠা সে সুর,
সানাইয়ের ক্রন্দনে হারিয়ে গেছে
যার মূর্ছনা!


জানো, বিনিদ্র রাতে
তারারা জাগে আমার সাথে,
চাঁদের জোছনা দেখিনা বহুকাল,
বিরহের বাগে যাকে হারিয়েছি
নিতান্ত অবহেলায়--
শুকতারার আর এক নাম তুমি!
আমার ঠিকানা এখন ধ্রুবতারা,
যাতে নক করলেই
কিংবা বিনা আয়োজনে খুঁজে পাওয়া যায়
অথচ ঠিকানাহীন তুমি!


আমি খুঁজে চলি মনের ভ্রমে
টলটলে জলাশয়
পূর্ণতার আলাপচারিতায়,


বিরহের স্রোতে ভেসে যেতে যেতে
এক পূর্ণলতা আমার সম্মোহনে--
ব্যালকনি টবে উঠেছে বেড়ে,
কথা বলে,
দুলে ওঠে হওয়ার তালে,
আমাকে ছুঁয়ে দেয় অটল প্রেমে!


খুঁজে পাই বিরহের অবচেতনে
তোমার শূন্যতার চোরাবালি,
আকণ্ঠ ডুবে যেতে থাকি
সমস্ত দুরাশার পাহাড় বুকে
একরাত্রি অন্ধকারের চোরাপথে!


হঠাৎ তোমার কামনার শীৎকারে
বন্ধ হয়ে আসে আমার কর্ণকুহর
মুদে আসে চোখ,
তৃষ্ণার্ত ওষ্ঠের উষ্ণতায়
আমি পৃথিবীকে খুঁজি আর বার,


অবিশ্রান্ত বৃষ্টি নামে,
টিনের চালে বেজে ওঠে
এলোমেলো শব্দের ঘুঙুর,
বিদ্যুতের ঝাড়বাতি সাজায় জলসাঘর,


স্মৃতির মাদকতা আমাকে মাতাল করে তোলে,
রাত্রি জেগে ওঠে বাইজির ঘুঙুরের ছন্দে--
স্বর্গের গুপ্ত কক্ষে মিশে যায়
কল্পনার বেষ্টনী!


নবলতা, তোমার চোখে ঘুম নামে বুঝি ক্লান্তির?
আমার চোখে স্বপ্নেরা খেলা করে
আকুল বিরহের সন্তরণে!!