জন্মান্ধ জাদুকর

জন্মান্ধ জাদুকর
কবি
প্রকাশনী চৈতন্য প্রকাশনী
সম্পাদক নিঝুম খান
প্রচ্ছদ শিল্পী নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
স্বত্ব লেখক
উৎসর্গ মাইনুল ইসলাম মানিক
প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সর্বশেষ প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সর্বশেষ সংস্করণ ০১-০২-২০২৩
বিক্রয় মূল্য ১৭২
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

কবিতার নদী যার শিরায়-উপশিরায় অচঞ্চল প্রবহমান, শব্দরা আচমকা ঘাই মেরে ওঠে যার রক্তের ভেতর; তেমনই এক চিরতরুণ নিঝুম খান। তার মস্তিষ্কের নিউরণে বল্গা-হরিণীর মতো খেলা করে পরিমিত ও পরিশীলিত বোধ। তার কবিতায় উঠে আসে আমাদের নৈমিত্তিক যাপণের রুঢ় বাস্তবতা, উঠে আসে এমন এক জীবনদর্শন যা অহোরাত্র আমাদের পাশঘেঁষে ছুটে চলে রেললাইনের মতো, অথচ আমরা দেখতে পাই না কখনোই। নিঝুম খানের কবিতার পরিসর বিবেচনায় বনসাই সংস্করণ মনে হলেও সেগুলো বোদ্ধা পাঠককে চরম ঝাঁকুনি দিতে সক্ষম।
একটি কবিতাকে প্রসঙ্গ করা যাক। চেকপোস্টে পুলিশের তল্লাশিতে কবির ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে একজোড়া চোখ-কান-হাত। এই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কবির নিজেরই। এই বিরূপ সময়ে ঘর থেকে বের হতে হলে যথাসম্ভব অন্ধ-বোবা ও বধির হতে হয়। তাই কবি তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোকে ব্যাগে পুরে বের হয়েছেন। সময়ের অভিঘাতকে কবিতায় এমন সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্মভাবে তুলে আনতে পারে, নিঝুম খানের মতো এমন সর্বদর্শী জাদুকর এই অন্তর্মুখী সময়ে সত্যিই বিরলপ্রজ। জন্মান্ধ জাদুকর গ্রন্থের কবিতাগুলো পাঠে যেকোনো মননশীল পাঠক ঋদ্ধ হবেন, একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

ভূমিকা

আমার প্রতিটি সঞ্চিত স্বস্তির কাছে, দীর্ঘশ্বাসের কাছে এবং প্রতিটি বিপন্ন বিষাদের কাছে অনিন্দ্য আলোর মতো নির্লিপ্ত-নিমগ্ন আছে কবিতা। পৃথিবী যখন চন্দ্রাভিযানে ব্যস্ত, আমি তখন মন্ত্রমুগ্ধ চোখে চন্দ্রিমার আধো-অন্ধকারে জোনাকির ঝিলমিল দেখেছি, দেখেছি গ্রীষ্মের প্রবল দুপুরে সদ্যপ্রস্ফুটিত গোলাপের বর্ণচ্ছটা, দেখেছি অভিধান থেকে প্রেমসমার্থক শব্দাবলী ছুটে যাচ্ছে প্রথম সংসর্গে।
উত্তাল আসরে নর্তকীর অপ্রস্তুত শ্বসন পেরিয়ে, রক্তবিভ্রমে মত্ত যোদ্ধার সুললিত কণ্ঠস্বর পেরিয়ে, শরীরভর্তি ধুলোমাটিসমেত তোমাদের নিকটে এলাম। ময়লা নয়, এ আমার জন্মদাগ। আমাকে গ্রহণ করো। আমি এ সোঁদাগন্ধা মাটির সন্তান।

কবিতা

এখানে জন্মান্ধ জাদুকর বইয়ের ৩টি কবিতা পাবেন।

শিরোনাম
মন্তব্য