আজ তোমার মহীরুহের পাতায় পাতায় মোহময় বিনয়ের ঝড়
শাখা – প্রশাখা দুর্বিনীত ক্ষমতার তেজে
অহমিকার চোরাস্রোত শিকড়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।।


বেশ তো!
বাবুই চড়ুইয়ের সাথে কিছু পরিযায়ীও বাসা পেয়েছে
দিনান্তে ফিরছে তোমার ডালে ডালে
অষ্ট প্রহর কীর্তন চলছে পালা করে।।


তোমার গর্বের লাভাস্রোত যখন ঊর্ধ্বমুখী
আকাশ ছোঁয়ার কৌতূহলে-
তখন আমার কৌণিক দৃষ্টি দেখে ভাবতেই পারো
ঈর্ষাকাতর আমি ডুবে আছি হিংসার পারদে।।


চেয়ে দেখ, তোমার সবুজ সতেজ মগডাল
ঠুকরে যাচ্ছে স্থায়ী বা উপরি পাওয়া কিছু কাঠ ঠোকরে।
গর্ত অনেক গভীর! তাই-
অনাহারি পেঁচা বাসা বেঁধেছে
বুড়ি চাঁদ বেনোজলে ভেসে যাক বা না যাক
জীবনানন্দের মেঠো ইঁদুরেরা ঠিক মারা পড়ছে।


আর এসব দেখতেই তো ভর সন্ধ্যেবেলায়
ত্রিফলার তলে দাঁড়াই আমি
কিছু মেঠো ইঁদুরের মৃত্যুর সাক্ষী হতে।
ঝড় তুলে ঠেলে দিতে পারো-
সরছি না আমি
সংঘর্ষ করেই বাঁচতে হবে
স্পষ্ট লেখা আছে নাগরিক ধারাপাতে।।