রাতে শোবার  ঘরে আলো নিভিয়ে দিলে
অন্ধকারে পায়ের দিকের জানালাটা
একটা অনন্ত জগতের চোখ হয়ে
আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।
আমি যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনের মতো
ঐ জানলা দিয়ে বিশ্বরূপ দর্শন করি।
কোনো সুদূর নীহারিকা থেকে ভেসে আসে সংকেত
কোনো উড়ন্ত প্যাঁচা হু হু করে ডাক ছাড়ে
জানলা দিয়ে কত কিসব উঁকি মারে
ছুটন্ত লরির আলো জানলা দিয়ে লাফ দিয়ে ঢুকে
দেয়ালে মুহূর্তের আলপনা এঁকে দিয়ে
এক ছুটে বেরিয়ে যায়।
গান্ডীবতো কোনো কালেই ছিল না আমার
তাই ঐ বিশ্বরূপ দেখিয়ে কেউ বলে না
ওঠো, অস্ত্র ধারণ করো।
শুধু বলে, তুমি কেউ না, কিছু না
মনে মনে বলি, তুমিই বা কে হরিদাস পাল ?
ব্রহ্মাণ্ড বিস্তৃত হাঁ করে
মুখের মধ্যে আমেরিকা, রাশিয়া
ইজরায়েল, প্যালেস্টাইন, ইউক্রেন,
ভারত, পাকিস্তান সব পানমশলার মতো চিবোতে চিবোতে
বিশ্বরূপ দেখাচ্ছ আমায়।
ক্ষমতা থাকলে আমার দুচোখে একটু ঘুম এনে দাও
নির্ঘুম রাতে উঠে জানলাটা বন্ধ করি আমি।