এই রগচটা গ্রীষ্মের হাত ধরে
কাল রাতে যখন লোডশেডিংটা নেমে এল,
তখন দেখি আমাদের পাশেই
যে এক হাজার কিলোমিটার দূরত্বের ফ্ল্যাটটা
সেখান থেকে রনিতা বৌদি


পিছনের দুহাজার কিলোমিটার দুরের ফ্ল্যাট থেকে
সদ্য বিবাহিত রীণা আর ওর বর


এক হাজার ফুট নিচে অবস্থিত  
একতলার ফ্ল্যাট থেকে
সদ্য গর্ভবতী রীয়া


কেমন শিমুল তুলোর মতো ভাসতে ভাসতে
এ্যাপার্টমেন্টৈর ছাদে এসে পড়ল।


একে একে আরো তুলো ওড়ে....


ভাসতে ভাসতে একই এ্যাপার্টমেন্টের
মধ্যবর্তি হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত
ফ্ল্যাট গুলো থেকে
শ্যামলদা, লক্ষী জেঠু, টুকাই, বুকান
উড়ে উড়ে কেউ পাখির মতো
কেউ বা পাখির পালকের মতো
আমাদের ছাদে এসে নামে।


মাত্র আধঘন্টায় সমস্ত গরম তুচ্ছ করে
পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে
আমাদের ছাদ।


এরপর এক ছাদ অন্ধকারকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে
যখন হঠাৎ করে জ্বলে ওঠে বিজলির বাতি
তখন হঠাৎ আলোর ঝলকানি লাগা
চিত্তের মাঝে কে যেন নামিয়ে আনে
অন্য আর এক লোডশেডিং‌