অপরাজিতা একটি পাখি,
পৃথিবীর অগণন মৃত্যুরাশি নিয়ে ফিরে আসে নীড়ে ,
সূর্যকে চেনে, জানে মেঘহীন শ্রাবণীর উৎস,
অথবা জানে রক্তকমল কেনো কৃষ্ণচূড়া।
কিন্তু তুমি, জীবনের নিরানন্দ সময়ের আদলে
কখনও ছুঁয়ে দেখেছো কি অদৃশ্য কুহেলিকা নরম দু'হাতে,
তুমি কি জানো গোপনে কতো অপূর্ণতা করেছে সঞ্চয়,
এই মহান পৃথিবীতে প্রতি পদে হিসেবের হালখাতায়।
তুমি কখনো চেয়েছো কি জানতে, চাওনি তুমি কখনোই
জানার সমস্ত আকাঙক্ষা ফেলেছ তুমি হারিয়ে
আমায় নিয়েছে চিনে এই ভাবে সমগ্র বিশ্ব-
আমার নিজের পরিচয় বিহীন এক ভ্রান্ত মোহমায়ায়
জীবনের কাঠগড়ায় নেমে আসে সন্ধ্যা
সহজ বিস্ময় নিয়ে যখন আবার ভোর হয় আঁধার কেটে,
আমি ভাবি রাত্রি থাকলেই ভালো হতো হয়তো
রাতের তিমিরে যখন প্রেম জ্বালে তার নিজস্ব আলো
যে  আলোয় পৃথিবীর কেউ কারো মুখ চিনে নিতে পারে না।
সে তবুও  চিনে নেয় তার অভীষ্ট হৃদয়- নীরবে
অসীম নিস্তব্ধতার মাঝে জেগে উঠে প্রেমের অলৌকিক ভাষা
সে ভাষায় অলিন্দে ঘুমে বিভোর পৃথিবীর সব কিছুই
কেবল নিঃসঙ্গ নীল নদীর পবিত্র ঢেউ একা পথ চলে নিজ গতিতে
তার তীরে বসে আমাদের অশরীরী আত্না গুনে যায় কি করে
আকাশের ধ্রুবতারা ভেঙে পড়ে অতৃপ্ত আঙিনায়।
অস্পস্ট অচেনা ভাষায় কথা বলে নিজ মনে  
মৃত পাতাগুলো শান্তিতে মাটির বুকে ঝরে পড়ে নীরবে
অত:পর শব্দহীন জগতে রহস্যময় শব্দ সৃষ্টি করে
আমাদের শরীর ক্লান্ত হলে অপরের চোখে যুগল ছবি আঁকি
যতক্ষন না ভোর আসে পূর্বাকাশ লাল হতে শুরু করে
যত দূরে সরে যায় ততোই নিকটে আসা প্রকৃতির খেয়ালে
একটি তারা হতে অপর একটি তারা কতো আর যেতে পারে দূরে
ভেবে হয় ক্লান্ত একাকী নিজ খেয়ালে- ভাবি আনমনে
একটি জীবন মৃত হয় জন্ম হয় নতুন এক হৃদয়ের
শরীর ঝরে যায় সময়ের তাগিদে তবু স্বপ্নরা কি মৃত হয়
অপরাজিতা নির্দয় দর্পনের আঁড়াল থেকে উঁকিদেয়
কখনো হয় স্বপ্নের অলিন্দে দাঁড়িয়ে কখনো বাস্তবতার উঠোনে।
____________________
রচনাকাল: রোদেলা সকাল ৮.৪০ মিনিট
০৩ ডিসেম্বর শুক্রবার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ
১৮-ই  অগ্রহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
২৮-ই  রবিউল আখির ১৪৪৩ হিজরী
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
© Copyright সংরক্ষিত