৩০টি মহান পরিশ্রবণের পর শেষ মুনাজাতে কেটে গেলো ঈদ
কতো রাগ অভিমান ও পাওয়ার না পাওয়ার কষ্ট নিয়ে
নীরবতায় হয়তো ভেসেছে অনেক বুক অশ্রুর বন্যায়,
সকল ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে আজ এসেছি প্রকৃতির কাছে
প্রকৃতি মানেই স্বর্গ,প্রকৃতি মানেই সুখ,অগণিত আনন্দ
উল্লাসিত মনে সব দুঃখ কষ্ট ভুলে এক সাথে প্রকৃতির মাঝে।


সুন্দর সুনীল আকাশে মাঝে মাঝে ভেসে যায় একগুচ্ছ মেঘমালা
গাছের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি এক আনন্দ দিয়ে যায় মনের কার্নিশে।
প্রবাসের মায়াময় দৃষ্টি সীমানায় যখন তাকাই, মনে পড়ে-
বাংলা মায়ের পথে প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনাবিল দৃশ্য।
গ্রীষ্মের তপ্ত জলাশয়ে ফিঙে পাখির গান,
কলমির সুগন্ধ মাখা পাতার আড়ালে হলুদ পায়ের দোয়েল
অলস বিকেলের মৌনতা ছিন্ন করে গেয়ে উঠে কোকিল
হঠাৎ এক দমকা বাতাসে বেজে যায় কিছু ঝরা পাতার নূপুর
শুভ্র কাশবনের অলিন্দে এক ঝিনুক ফোটা সাগর সৈকত
ডানা ঝাপ্টানোর এলোমেলো শব্দ করে উড়ে যায় অহিংস বুনোহাঁস।
বৃষ্টির পদাবলী শুনতে শুনতে চেয়ে দেখি প্রতিটি জলজ বিন্দুতে ছুঁয়ে আছে
জুঁইয়ের গন্ধমাখা শীতল বাতাসে একতারায় সুর বাজে চাঁদের মায়ায়।
ধীরে ধীরে ভেসে আসে দূর থেকে নীরব সন্ধ্যার সুর।  
দক্ষিণের বারান্দা থেকে ভেসে আসে ভালোবাসার গান
মা, মাটি, দেশ, তার সব অস্তিত্ব অনুভব করি এভাবেই একাকী।


আজ ঘর থেকে বের হয়েছে একাকিত্বের শিকল ভেঙে
খেলনাবাটির সংসার শেষে ক্ষণিক সময় বের করে  
সকল দুঃখ কষ্ট ভাগ করে নেবো মনের হরষে
যাপিত অভিলাষগুলো কাছে এনে সবার মাঝে বিলিয়ে দেবো বলে।
গ্রীসের এই সুন্দর ভুমির মাধুর্যতায় মুগ্ধ হয়ে
সজলকথা বুনতে বুনতে এই বেশ ভালো থাকতে
থিবার এই পান্থশালায় নিরানন্দের মাঝেও এক আনন্দ  নিয়ে
সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ের শীতলতায় মুগ্ধ হবো
নিদারুণ সুন্দর বনভোজনের আয়োজনে
স্মৃতির পাতায় লিখে যাবো এক সুন্দর স্মৃতি অনিন্দ্য কালের খাতায়
সময়ের সকল প্রবঞ্চনাকে পিছনে ফেলে  
আসুন সবাই হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাই ভবিষ্যতের স্বপ্ন সুখে।
_______________________________
ঈদের ছুটিতে বনভোজনে গিয়েছিল আমাদের সংগঠনের সবাই, তবে সময়ের অভাবে আমি যেতে পারি নি তবে আমার এই লেখা তাদের সাথে গিয়েছিল।
আয়জনেঃ বাংলাদেশ দোয়েল সাংস্কৃতিক সংগঠন
১৫ মে রোজ রবিবার ২০২২  
এথেন্স গ্রীস।