হঠাৎ তোমার চিঠি
খাম খুলতেই বাতাসে ভেসে এলো গোলাপের ঘ্রাণ
লিখা ছিল, শোনো কাল কোজাগরী
শত রজনীর মাঝে এক আরাধ্য রজনী
তুমি চাইলে আসতে পারো দক্ষিণের জানালায়
আমি লাল পাড়ের সাদা শাড়ি কপালে লাল টিপে
আপাদমস্তক বাঙালি,
তুমি চাইলে পড়তে পারো পায়জামা-পাঞ্জাবি
শত বাধা উপেক্ষা করে আমি চাতক হবো
চেয়ে থাকবো তোমার পথপানে
তুমি হেঁটে যেও দৃষ্টির সীমানা পেরিয়ে ধীরে ধীরে
বারে বারে দৃষ্টি বিনিময়
আমি না হয় পাখি হয়ে উড়ে যাবো
জ্যোৎস্না হয়ে ছুঁয়ে দেবো আমার আজন্ম আরাধ্যনাবরি
তারপর ব্যর্থ হলো কতো পূর্ণিমা কতো কোজাগরী
ঝরা বনে ঝরে গেল ম্লান জ্যোৎস্না
জ্যোৎস্না হত আমি আধার সাঁতরিয়ে
আমি আবারও সেই আধারের মাঝে ডুবি
ফেরা হয় না, আর কোনদিন দখিনের জানালায়।  
-----------------------------------------
                  টি,কে,এম,আজীমি