মনের জানালায় দাঁড়িয়ে প্রিয় কেনো- বাজাও বাঁশি এ অবেলায়,
উচাটন হয় মন, থাকতে চায় না ঘরের কোণ,
বাঁশির সুরের মধুর টানে ছুটে যায় নীপবন।
আধো রাতে ঘুম ভেঙ্গে যখন দক্ষিণা জানালা খুলে চাঁদের কিরণ,
এসে খেলা করে আমার শুভ্র বিছানার ভাঁজে - তখন..
চেয়ে দেখি তারা ভরা রাতে গোপন চিঠি পাঠিয়েছ তুমি সমীরণের সাথে,
পড়ে আমি পাগল পারা ভাবাবেগে ভাষা হয় ছন্দহারা।


হাস্নোহানা, কামিনী আর চাঁপার গন্ধ নিশাচর পাখির কূজন,
ঝিঁঝিঁ পোকার গুঞ্জনে নড়ে উঠে রাতের নিঃস্তব্ধতা,  
তার মাঝে ভেসে আসে সেই মাতাল সুরের তান,
এ'কী অলীক কল্পনা, না'কি বাস্তবতা জানি না,
বুঝিনা, বুঝিতে চাই না শুধু জানি এ এক যাদু-মন্ত্র,
আর্শ্চয এক মাদকতা সেই সুরের তানে আমি হারাই আমার চেতনা।


বুকের মধ্যভাগ থেকে উচ্ছ্বসিত প্রেম ধারা আপন মনে পাগল পারা,
যেন হিমাদ্রীর বুকচিরে উৎপন্ন এক ঝরণা এঁকে বেঁকে চলে অরণ্যে,
ছন্দে আনন্দে হিন্দোল দোলায় মাতাল সুরের র্মূছনায়,
আপন বেগে ধেয়ে চলে বহতা নদী সবুজ সমতলে,
রাশি রাশি প্রেম চলেছে ভেসে, উল্লোসিত হিল্লোলে,
আমি ছুটে চলি সমুদ্র পানে তার মিলন মোহনায়,
চেতনা ফিরে দেখি এখনও আছো দাঁড়িয়ে মনের জানালায়।
_________________
রচনা: নিস্তব্ধ দুপুর ২,১৫ মিনিট
১০ মে বুধবার ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ  
২৭-এ বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২০-ই শাওয়াল ১৪৪৪ হিজরী  
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
©️ Copyright সংরক্ষিত ®