জীবন মরু পথের নদী, বয়ে চলে নিরবধি,  
তেপান্তরের বুক বিদীর্ণ করে দুর্বার
কোজাগরী আকাশের সীমাশূন্য নিস্তব্ধতায়
পাঁজরে লোহিত কণিকা হয়ে নীরবে ঝরে অবিরাম
যখন স্নেহবিহীন বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যায়
এক মনস্তাপের চূড়ান্ত উদ্দীপ্ত দিনের যবনিকার-তখন  
বিষাদের মূর্খ ছোঁয়া লেগে থাকে রাতের চৌকাঠে
নিস্তেজ ক্লান্ত দিনের শেষে পরিশ্রান্ত শরীরে
ঘিরে থাকে অনিন্দ্য নির্বাক অবসাদ
ঝরা পাতার বুকে শুনি হাওয়ার সাবধানী আর্তনাদ
ঝাঁক ঝাঁক কলঙ্ক এসে ভিজিয়ে যায়
বিভাবনে বাঁধা পড়া নীল হৃদয়ের গালিচা
বিষন্নতারা ঘিরে থাকে শুস্ক কালো ধোঁয়া হয়ে
প্রেয়সীর শ্রান্ত আঁচলের ছায়ায়।


অন্তরে উঠে দীর্ঘশ্বাস ধৈর্যের ধুপরিমায় পুড়িয়ে
অস্তিত্বের মর্মপীড়ায় আজ নির্জিত শরীর
সময়ের উদ্ব্যত অহংকারে পুড়ে গেছে অধরা দেহ  
অদৃষ্টের পরিহাসে ধীরে ধীরে শুকতারা মলিন হয়ে যায়
মনটা যখন হারিয়ে যায় শ্রান্তির অন্তরায়
অঢেল ব্যথা বুকে ধরে উঠে দাঁড়ায় নীলকন্ঠী আশাগুলো
যুগ থেকে যুগান্তরের নির্বাক স্রোতের প্রবাহে
জীবন নদী বয়ে চলে প্রত্যাশাহীন নিষ্ঠুর মরুর পথে
অতঃপর শেষ হয় যাপিত সময়ের লেনদেন
শুধু রয়ে যায় ক্ষয় হয়ে যাওয়া সাদা কালোর আবর্তে  
বাধা স্মৃতির ফ্রেমে জরাজীর্ণ মলিন বকুল ফুলের সুতোয়।
__________________
রচনাকাল:হলুদ দুপুর ১.৩০ মিনিট
২২ ডিসেম্বর বুধবার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ
১১-ই-পৌষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
১৮-জামাদিউল আউয়্যাল ১৪৪৩ হিজরী
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
© Copyright সংরক্ষিত