আমি আমার একাকিত্বকে দারুণ ভাবে উপভোগ করি---
যখন রাত গভীর থেকে গভীর হয়ে আসে নীরবে,
ধীরে ধীরে উপলদ্ধি করি তোমার স্পর্শ।
হৃদয় দর্পন থেকে বের হয়ে আসে তোমার অবয়ব,
মায়াময়ী এক রূপ ধারণ করে নিমিষেই।
নিবিড় ভালোবাসায় জড়িয়ে নেয় আমাকে,
অনিন্দ্য রংধনুর বুক ছুঁয়ে নিদারুণ কাম্পিল্য।
মুগ্ধ সমীরণের আসাদন অরণ্যের স্নিগ্ধতা,
হৃদয়ের আঙিনায় মনের উদারতা চুলের সুগন্ধী আল্পনা।
কানের গোড়ায় আঙুলের মধুকরী ছোঁয়া,
নিদারুণ এক অভিলাষী সুখ স্বর্গে নিয়ে যায় আমাকে-
আমি চোখ বন্ধকরে অনুভব করি তোমার অস্তিত্ব।


সময়ের দর্পণের সকল আনন্দ মিলে,
রক্ত কণিকায় এক উল্লাসী স্রোত ভেসে যায় মহা আনন্দে।
আমার চারিপাশের সব কিছুতেই শুনি সুখের হাসি,
উলটো হয়ে যায় যাপিত জীবনের সংখ্যা
ধীরে ধীরে বয়স নেমে আসে একষট্টি থেকে ষোলোতে।
পাখিদের কাকলীতে মুখরিত হয় সকাল,
ভালোবাসার এক অসাধারণ মুগ্ধতায় চোখ খুলি,
খিলখিল আনন্দ হাসির কোলাহলে আবিষ্কর করি নিজেকে।
ঘর থেকে বের হয়ে পড়ি নতুন সন্ধ্যার অপেক্ষায়-
এ'যে এক নীরাজনার প্রেমের সম্ভার!
______________________
রচনা'কাল: শীতল হলুদ দুপুর ১.১৫ মিনিট
১৮-এ নভেম্বর শনিবার ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
       ৩- এ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  ৪ - এ জামাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে প্রকাশিত
           সংশোধিত ও পরিমার্জিত  
          © Copyright সংরক্ষিত ®