বিশীর্ণ শরীরের অন্তর্বাসী স্তনফুল ঝরে পড়ে নীরবে
ঝোপের আড়ালে সেরে নেয়া প্রসাধনীর বিলম্বে
পদে পদে কৃষ্ণাভ হয়ে চলে সন্ধ্যা মালতী
অধিক বিপন্ন আর পরিব্যাপ্ত ক্ষুধার তাড়নায়
পার্কের কোণায় ফাঁকা বেঞ্চটিতে খুঁজি ঘৃণা
কোন পুরুষ যদি দাঁড়ায় গাছের আড়ালে-অপেক্ষায়
তবুও ক্ষমাহীন আতঙ্ক পুষে এগিয়ে যাই
নিয়নের সতিনী সখ্যতায়।


ব্রহ্মাণ্ডের কাদাজলে পতিত প্রান্তরে
সত্তার অমূল্য রত্ন ক্ষয় হয় বিষাদী বিলাপে
যখন ঘুমায় সুখী মানুষ অট্টালিকার সোহাগে
আমি হাঁটি অভেদ্য কুয়াশার প্রাচীর ভেদে
ভনিতাবিহীন কষ্টের অশোভন আবেগে,
মুঠো মুঠো স্বপ্ন নয় এক মুঠ অন্নের করুণ দায়ে  
পরিশ্রান্ত বাবা মায়ের ক্ষুধা নিবারণে
পৃথিবীর ভোগ্য পণ্যের রীতিনীতি জেনে।  


ঘুমিয়ে থাকা পাপ ক্ষুধা জেগে উঠে নিমিষে
অসহায় মানুষের উচ্ছিষ্ট মিনারে
সেফালি, আমেনা,আর কতো অজানা নামের
অসহায়ত্বে ঘেরা দ্রৌপদী সঙ্গমে।
__________________ _
রচনাকাল: নিবিড় সকাল ৮.৫০ মিনিট
২৩ মার্চ মঙ্গলবার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ
৯-ই চৈত্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
© Copyright সংরক্ষিত ®