হেমন্তের শুভ্র প্রভাতের শীতল প্রবাহে
জীবনের সুখস্বপ্ন পিছনে ফেলে, আগামীর প্রত্যাশায় হাঁটা
অতীতের মড়মড় ধ্বনির ছন্দ পতনের আঙিনায়,
যাপিত সব সুখগুলো জড়িয়ে রেখে কথার মায়াজালে
ঝরা পাতা শুনায় মৃত্তিকার গান হৃদয় ছোঁয়া বেদনার স্বরে।


নিরানন্দ কালের সন্ধ্যায় সঙ্গীহীন এক আঁধার বাসরে,
হৃদয়ের ব্যকুলতা নিয়ে অধীর অপেক্ষা।
যতদূর চোখ যায় একাকিত্বের ধু'ধু অক্ষুন্ন প্রান্তর ,
অচপল সুখ অঙ্গুষ্ঠ প্রদর্শন করে নিয়েছে বিদায় অনেক আগেই।
ভাঁজ পড়া চামড়ার আড়ালে লুকানো কিছু সুখের স্মৃতি,
কিছু হাসি কিছু কান্না,কিছু বেদনা,
জীবন কি শুধুই  আলো আঁধারের খেলা?


এক মুখোশের আড়ালে অগনিত মুখ উঁকি দেয়,
স্মৃতির দ্বারে ঝুলে থাকে কিছু বিষাক্ত অতীতের ছায়া,
সুখের পরশ কখন যে বিদায় নিয়েছিল নীরবে,আমার অজান্তে
আজ গভীর অর্ণবে ডুবে গিয়েছে যাপিত জীবনের ক্ষণ ।


ঘোর সন্ধ্যায় ঝিঁ'ঝিঁ পোকার কন্ঠে জীবনের মানে বুঝতে পাই,
সব কিছুই আজব লাগে যখন আঁধার ভেদে উঁকি দেয়
নিরানন্দ জীবনের এক চিলতে আলো ,
হীম শীতল চিকচিকে পাতার আঁড়াল হতে,
ঝরে পড়া ফুলের পাপড়ির মত পথে ছড়ানো ছিটানো অস্তিত্ব,
কে'যেন অতথ্য আবেগে চূর্ণ বিচূর্ণ করে ফেলেছে পথের ধারে,
সহস্র বছরের উপবাসী হৃদয় একটু সুখের পরশ চায়।


ও'হে  প্রবাসী সুখ !
তুমি আসবে ফিরে আবার এই তপ্ত জীবনে -
ধুসর দিগন্ত হতে নীরে ফিরা পাখিদের মত সন্ধ্যা লগনে,
হেমন্তের শুভ্র প্রভাতের শীতল প্রবাহে ভেসে
একান্ত আমার হয়ে,নিভৃত দ্বার খুলে দিয়েছি আজ অকল্পে,
তোমার শেষ না হওয়া অপেক্ষার নিঃসত্ত্ব প্রহরে।
_________________________