সত্তার দ্রোহিনী, কঙ্কন বিদ্রোহিনী,
ওগো আমার আত্মার দ্রোহিনী!
সহস্র আশা আর বিস্তৃত ভালোবাসা,
বুকে জড়িয়ে বিশ্বাসের আদর মেখেছিলাম প্রেয়সিনী
তুমি সেই বিশ্বাসের প্রাচীর ভঙ্গকারিনী!


ধিক্কার তোমায় ধিক্কার, কি আছে আর অধিকার
তোমায় ফের জড়িয়ে নেবার?


বিশ্বাস সেতো পবিত্র এক স্বত্তিয় অনুভূতি,
ভাঙবে না ভাঙবে না গেয়েছিলাম তোমার স্তুতি
সত্য মিথ্যার ভেদাভেদ ভুলে কতোশত মাতামাতি
ছিঃ! আজ সব পাল্টে গেলো রাতারাতি!


সময়ে সময়ে অসময় মেনে না নিয়ে
দু’জনে চড়ে বেড়িয়েছি জগৎ বিভূঁয়ে,
আজ শুধু কষ্টের মিলনমেলা,
বিশ্বাস ভেঙ্গেচুরে একাকার হায়রে ছেলে খেলা!


মনে মনে আঁকিবুঁকি, তোমায় নিয়ে আশা
ছলকে ছলকে উঠে আজ নিঃস্ব ভালোবাসা!
পাল্টে নিয়েছ তুমি পুরানো বেশভূষা
আমায় নিয়ে ভাবনা কর কি তুমি, একটুখানি তৃষা?


উন্নাসিক তুমি, তুমি পরম ছলনাময়ী
শেষাবধি হয়েছ তুমি মোর আত্মাক্ষয়ী
এখন তাই সমাপ্তি টানছি, নিস্তার হল তোমার!
মুক্তি দিলাম তোমায় আজ, দিলাম কৃপা বিধাতার!
___________________
রচনাকাল: ক্লান্ত রজনী ১১.৫৫ মিনিট
১৯ এপ্রিল সোমবার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ
৬-ই বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
© Copyright সংরক্ষিত