<> <> <>
--------------


এইত সে দিনের কথা যখন দাদা জীবিত ছিলেন,
বেশি পুরনো নয়, হয়ত হবে  গোটা কয়েক যুগ,
বাঁশপাতার ঘর মাটির দেয়াল, ধান ছড়ানো উঠান।
বিকেলে জমে উঠতো আত্মিয়দের আড্ডা,কি আনন্দ,
জীবনে ছল চতুরি স্বার্থপরতা কিছুই স্পর্শ করেনি,
চুরি ডাকাতি ঘৃণা ছিল শুধুই রূপকথার গল্পের মত,
ছলনা ব্যভিচার আত্মসাৎ বাক্য গুলি ছিল অজানা,
নির্লজ্জ পরিশ্রম, গভীর ঘুমের সুখ চিন্তা মুক্ত সারাক্ষণ,
বাসী পান্তা খেয়ে মহা আনন্দে কাটাতেন জীবন,
হঠাৎ করে সবাইকে কাঁদিয়ে যবনিকা টানলেন-
পৃথিবী থেকে ভালো মানুষ গুলি অতি তাড়াতাড়ি।
#
বাবার যুগটা ছিল শিক্ষার যুগ,পরিবর্তনের যুগ,
সব ঐতিহ্য সেকালের ভেবে,পিছনে ঠেলে দিলেন,
ঘর গৃহস্থি ছেড়ে নয়টা পাঁচটা চাকরিজীবি হলেন,
যদিও বেতন অনেক কম তবুও খুশি মন, হঠাৎ-
শুরু হলো ঘরে কিছু বাড়তি আমদানি বকশিশ নামে,
কেটে যাচ্ছিল জীবন সপরিবারে সুখে আনন্দে হেসে,
শিক্ষা যতটুকু অাধুনিকতা আনতে পারে তার সব,
বইয়ে এনেছিল বাবার জীবনে অনেকটা পরিবর্তন,
এভাবেই জীবনের পথ থেকে বিদায় নিলেন অকালে।
#
আমার যুগ অনেক আধুনিক যুগ আধুনিকতায় মুগ্ধ,
নিষুতি মানবতা আজ নির্লজ্জার সুল বিদ্ধ হয়ে আছে  
এ যুগে বন্ধুর মানে স্বার্থপরতা,মায়া জালে ঘেরা চারিদিক,
কৃত্তিম হাসি, ঘৃণা যুক্ত মন চোখের পলকেই ফাঁকি সারাক্ষণ
মর্যাদা, চাকর গাড়ি বাড়ি আছে সুন্দর নারী বহুতল ভবন,  
মন শান্তিহীন রজনী নিদ্রা বিহীন,অনিরাপত্তা আজ রাতদিন,
কেউ কারো দুঃখে মনক্ষুন্ন করে না,মরে যাওয়া মানুষ নিয়ে,
উল্লাসে মেতেউঠে, পথের ধারে পরে থাকে নবজন্ম শিশু
কে যেন আধুনিকতার ছাপ রেখে যায় তার শরীরে,
কুকুর ,শকুন,ছিড়ে ছিড়ে খায় ,চোখ অতুরি অংগ প্রতঙ্গ,
তখন নিজেকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে আমি কি মানুষ ?
নাকি আধুনিক শিক্ষিত নিকৃষ্ট নির্বোধ পশু।