বিহগ ডাকা ভোরে ঘুম ভেঙ্গে স্নান সেরে
আয়নায় তাকিয়ে যখন মুগ্ধ হবে নিজের রূপে
শিশির হয়ে থাকব সবুজ প্রান্তে ঘাসের ডগায়
তুমি এসে ধীরে ধীরে এলোমেলো পায়ে
মন ভিজিয়ে নিও আমার স্নিগ্ধতায়।


তপ্ত দুপুরে প্রবল বেগে মেঘ হয়ে বাতাসে ভেসে
দাঁড়াবো তোমার জানালার কাছে
গাছের পাতা কাঁপিয়ে মাটির গন্ধে মেতে
ঝরবো বিন্দু বিন্দু হয়ে তোমার টিনের চালে
আমায় তুমি ছুঁয়ে নিও জানালা খুলে হাত বাড়িয়ে।


কাশ ফুলে ঢাকা তটিনীর বুকে নৃত্যমান ঢেউ হয়ে
অধীর আগ্রহ নিয়ে ছুটে আসবো সৈকতে
তুমি আলতা পড়া পায়ে নূপুরের ছন্দ জাগিয়ে
ঝিনুক ফোটা তীরে আমায় তুলে নিও
ঢেউয়ের নৃত্যের তালে তালে।


গোধূলীবেলায় ক্লান্তি মাখা বিকেলের আবেশে
যখন মলিন বাতাস ফিকে হয় মনের অজান্তে
সবুজ প্রান্তে মধ্যাহ্নের তৃষ্ণা জাগে অনেক
আমি বৃক্ষের মত ছড়াবো ডাল পালা ঘন ছায়া নিয়ে
তুমি স্পর্শ করে নিও আমায় অলকগুচ্ছ উড়িয়ে।


যখন মন থাকবে অশান্ত নিঝুম সন্ধ্যায়
পাখির কলতান তোমায় নিয়ে যাবে দূর অজানায়
কাজল চোখের শূন্যতা জড়ানো লগ্নে
তুমি দেখবে চেয়ে মালতী শাখে
আমি থাকবো এক ঝাঁক জোনাকি হয়ে
তুমি আমায় বেঁধে নিও তোমার মায়াবী আঁচলে।


আঁধার রাতের নির্জনতায় নির্ঘুম প্রহরে এপাশ ওপাশ
ঝরা পাতার শব্দে যখন আতঙ্কিত মন
নীল গগনে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে তোমার হৃদয়ের পাশে
বাতায়নের দ্বার ভেঙ্গে ঝরবো তোমার বিছানায়
তুমি মন রাঙ্গিয়ে নিও শুভ্র জ্যোৎস্নায় ভিজে।
_______________
১৬/০৬/১৬......এথেন্স গ্রীস
© Copyright সংরক্ষিত ®