সেই অতৃপ্ত স্বপ্নটুকু ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাক কম্পিত অধর
পিপাসিত মরুর তৃষ্ণা বুকে নিয়ে
যৌবনের দাপটে হারিয়ে যাওয়া সোনালী শৈশব
আমি দেখি কেবল দূরের আকাশে
দুপুরের রোদ্দুরে আলো আঁধারের খেলা অবিরাম
ঘামে ভেজা লবনাক্ত প্রহর হাসে।


বিকেলের ব্যালকনিতে অচেতন মন প্রশ্ন করে
কোথায় হারিয়ে যায় সেই নির্বাক সময়
ছায়াহীন প্রহরে শত কোটি নক্ষত্রের ছায়ায় দাঁড়িয়ে
শৈশব হলদে পাতার শিশু হয়ে দোলা খায়
প্রভাত পাখিরা ফিরে আসে আপন মনের কলতানে
রাতের আঁধার ভেদে নবীন সূর্য হাতে নিয়ে।


দিনগুলি কিভাবে কেটে গেলো নদীর স্রোতের মতো
অঢেল স্মৃতির চোখের পাতা ভিজিয়ে
অন্তরে মাঝে জেগে উঠে পিপাসিত আরেক অন্তর
তৃষ্ণিত শুভ্র পালকের ক্লান্তি নিয়ে
বেদুইন মেঘগুলি ফিরে ফিরে আসুক আবার এভাবে
কদম ডালের সৌরভে মন রাঙিয়ে।


নাম না জানা ষোড়শীর আঁচলে ঢাকা চাঁদের স্নিগ্ধতায়
হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা ঢেলে দিয়ে
নিরুদ্দেশ হয়েছিলো চিরতরে দ্বিধাহীন আক্ষেপ নিয়ে
আবার জন্মনিক সময়ের কোলে চিত্রকল্প
গহীন অরণ্যের আঁধার তাড়িয়ে রঙিন আলোর ভূবনে
আবারও নিজেকে সাজাবো নিজের মতো করে।
_______________
২৪/০৮/১৬......এথেন্স,গ্রীস
© Copyright সংরক্ষিত ®