তোমায় আমি দেখেছিলাম প্রথমবার
বৃষ্টি মুখর আবেগ মাখা এক শান্ত বিকেলে
বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা তোমার নীলাম্বরীর ভাঁজে ভাঁজে
ঝরে পড়ছিলো অনন্ত সুরভী মেখে।


তুমি সবুজ শৈবাল দ্বীপে দাঁড়িয়ে
উষ্ণ নিঃশ্বাসের অস্থিরতায় যৌবনের দগ্ধ স্রোতে ভেসে
নির্বাক হয়ে নিশুতি প্রহরে অধীর অপেক্ষায়
নীল জল ছুঁয়ে যাওয়া সীমান্তে পিপাসিত নয়নে।


নীরব সন্ধ্যায় বিধুর বাঁশির সুর
জীবনের সমীকরণে বিবর্ণ রূপে এঁকে দিয়েছিলো
নৈশব্দের পালক কাঁপা অব্যক্ত অভিমান
একরাশ উদাসীনতা মেখে দিয়েছে ষোড়শী নয়নে।


অচেনা বিষণ্ণতায় প্রতীক্ষায় নিথর হৃদয়
জীবনের মৌনতা মাখা নীলাভ মায়াবী নেশায় জড়িয়ে
ক্রমশ নেমে আসছিলো দীপনেভা রাতের গভীরতা
সময়ের সমীক্ষায় নীল ব্যথার হাতছানিতে।


আমি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে দেখি পরিবেষ্টিত চোখের পাতায়
প্রতীক্ষার গভীর নীল কষ্টগুলো কি করে
আল্পনা এঁকেছে কাজল ঝরা অধরের আঙিনায়
অজস্র ক্লেশ মাখা গল্প লিখে গেছে অপেক্ষার প্রহরে।


আমায় দেখে জড়ালে অভিমানী আলিঙ্গনে
শান্ত হাসির অন্তরালে শত সহস্র আক্ষেপ লুকোনো
আদর মেখে বলি পাগলী আমি আছি তো
শ্রাবণ ঝরা সন্ধ্যায় জীবনের তৃপ্ততায় তোমার পাশে।  
________________
২৬ জানুয়ারি ২০১৭ এথেন্স গ্রীস
   © Copyright সংরক্ষিত ®