আপাদমস্তক এই পৃথিবীর মঞ্চে কি চরিত্র ছিল আমার
পর্দার আড়ালে গোপন বৈঠকের নীরব প্রণয়ে
আবেগগুলো হারিয়ে ফেলি নিমিষেই দৃঢ় সংলাপের অন্তরালে
নিষিদ্ধ দৃশ্যের বোধহীন মৌনতার ছোঁয়ায়।


যখন চারিপাশে করতালির মিছিলে আন্দোলিত শূন্যতায়
ঐরাবত সময়ের ঐহিক বাসনাগুলো উষ্ঠধ্বনিতে
বিষণ্ণতা মেখে দিয়ে যায় ধূসর নক্ষত্রপুঞ্জের উষ্ণ অভ্যর্থনায়
নিশ্চুপ নির্বোধ অনুভূতির যান্ত্রিক কোলাহলে।


জীবনের অসমাপ্ত গানগুলো গাওয়া হয়না আর কখনোই
স্মৃতির পাতার ভাঁজ ভরে থাকে অবিনয় হাহাকারে
আকাশের নীরব শূন্যতার কান্না শুনি কক্ষচ্যুত লালিমায়
হিতাহিত নিয়মগুলো লিখে রাখি রঙহীন কাগজে।


দিনরাত অনুভূতির মুখোশে লুকিয়ে রেখে দুঃস্বপ্নের চিহ্ন
জীবন স্রোত ভেসে চলি বিন্দু কে সিন্ধু করে নির্বাক
কোজাগরী গগনের আদ্যোপান্ত পাণ্ডুলিপির নীরস কটাক্ষে
ঐশ্বর্য প্রাচুর্যের সমস্ত আঁধার নিবারণের প্রয়াসে।


চলমান জীবনের অন্ধকার বিভীষিকার ক্লান্ত মিছিলে
নীলকণ্ঠী অনুরাগের ছোঁয়ায় বাতাসে ভেসে ভেসে
মুহূর্তে সব ক্লান্তি ভুলিয়ে চোখের পাতায় অজস্র কথাচ্ছলে
জীবনের শেষ দৃশ্যে থাকে শুধুই নীরব শূন্যতা।
________________
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ এথেন্স গ্রীস
   © Copyright সংরক্ষিত ®