হাজারো ব্যস্ততার ফাঁকে মনে পড়া,
কতটা গভীর হলে
নিরবে দাগ কেটে যায় হৃদয়ের আয়নায়।
কতটা প্রকট হলে
ব্যস্ত হীন সময়েও অতৃপ্ত আত্মা,
ব্যাকুলতার সহিত শুধু তোমাকে খুঁজে বেড়ায়।


নানাবিধ ব্যাখ্যার জালে
আটকে পড়ে সময় মহা-দূরত্বের কারণে,
হৃদয়ের হাহাকার কাকে বুঝিয়ে বলবো?
নিজেকে বুঝাতেই
বিষম খাবি খেয়ে যাচ্ছি অন্তরের গহীনে।
কি করে পাই আত্মনিয়ন্ত্রণের উপায়?
এ হৃদয় সর্বদা_
ব্যাকুলতার সহিত শুধু তোমাকে খুঁজে বেড়ায়।


নিরব অভিযোগে
না জানি কখন নীরবতা চিৎকারে পরিণত হয়,
চিৎকার থেকে আর্তচিৎকারের ভয়।
আঘাতে প্রলেপ দিলে ভালো হয় জানি!
প্রলেপের অদেখায়_
বিদগ্ধ আত্মার কি কভু প্রতিকার হয়?
ব্যাকুলতার সহিত
এ হৃদয় শুধু তোমাকেই খুঁজে বেড়ায়।


অন্তরের অবস্থা বড় হিজিবিজি,
চিন্তা চেতনা করে যাচ্ছে কাটাকুটি,
প্রাধান্য পাচ্ছে না কেউ হিসেবের সুতোয়।
গোলমেলে সুতোর
এক প্রান্ত আমার নিকট_
অপর প্রান্ত কোথায়?
ব্যাকুলতার সহিত সদা সর্বদা
এ হৃদয় শুধু তোমাকেই খুঁজে বেড়ায়।


অপেক্ষার প্রহর বড় দীর্ঘ,
দীর্ঘ তার ছায়া, দীর্ঘ তার মায়া,
সুমিষ্ট হয় তার প্রলম্বিত প্রহর।
যদিও অপেক্ষার সময়ে বইতে পারে,
শুরু থেকে চিহ্নহীন কোন নিত্য নহর।
তবু কি করে থাকি অপেক্ষায়_
এ হৃদয় ব্যাকুলতার সহিত
শুধু তোমাকেই খুঁজে বেড়ায়।


তুমি হয়তো এমনই ভাবছো!
যেমন ভেবে যাচ্ছি আমি,
ভাবনায় ভাবনা মিলালেও জুটে প্রশান্তি।
মিটে যায় সব অবসাদ_
হৃদয়ের অব্যক্ত কথন ও কভু মিলে যায়,
দুঃখ অবসানে হয় দূর ক্লান্তি।
দু'জনে দু'জনের প্রতি মিলনের অভিপ্রায়,
ব্যাকুলতার সহিত একে অপরের প্রতীক্ষায়।