একটা ছেলে ছিল,
শহুরে রাস্তায় সে ঘুরে বেড়াত৷
ফেলে দেওয়া খাবার, এঁটোকাঁটা এসব খেয়েই তুষ্ট৷
পরনে পোশাকের কথা সে ভাবেনি কোনোদিন৷
কিন্তু তার ছিল এক তৃষ্ণা.....
প্রবল তৃষ্ণা.... ঘুমের তৃষ্ণা৷
সুপ্তির তিমিরতলে দুদণ্ড স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে...
ঘুমোতে চায় সে৷
হায় রে দুর্ভাগ্য, সে সুদিন আর তার আসেনা৷
প্রাণপণে বিরত রেখেছে তাকে
যানবাহনের বিকট শব্দ....
আর ঘুমোবার জায়গার অভাব৷
হটাত্ই একটা দিন এল,
কোনো কিছুই পারল না তাকে রোধ করতে৷
সে ঘুমিয়েছে.... কাল সে ঘুমিয়েছে৷
ঘুমিয়েছে সে বৃষ্টির রাতে ভিজতে ভিজতে,
ঘুমিয়েছে সে প্রচণ্ড জ্বরে কাঁপতে কাঁপতে৷
ঘুমিয়েছে... সে ঘুমিয়েছে....
ফুটপাতে শুয়েই সে ঘুমিয়েছে৷
বিনিদ্র রাতের যন্ত্রণা তার দূর হয়েছে৷
মুখ থেকে সরে গেছে ক্লান্তির ছায়া৷
এখনও শেষ হয়নি তার ঘুম৷
বৃষ্টিস্নাত সকালবেলায় কিছু সমাজসেবী লোক
তাকে শ্মশানে বয়ে নিয়ে গেল৷
সর্বগ্রাসী আগুনের স্পর্শে....
দেহ তার শেষ হয়ে গেল৷
ঘুম তার শেষ হল না৷৷