কর্ত্রী স্কুল চালায় তুঘলকি কায়দায়।
হাভাতে মোসাহেব শিক্ষক-শিক্ষিকা লতানে মাথা দোলায়।
স্কুলের জন্মদিনে একফালি কেক্ খেয়ে
রঙিন পোশাক গায়ে ক্লাস রুমে গুনগুন---
চুপেচুপে খোপে খোপে কপোত কপোতী গুঞ্জন।
স্কুলে হতেই হবে পিকনিক;
তালিবানি ফতোয়া তাই---
সকলের আসা চাই।
ঋজু মাথা কাটা যাবে;
দু’ভাগ হবে স্তম্ভিত অস্তিত্ব।
সকাল ৮ থেকে ছুটির সময় পেরিয়ে
দলছুট দলছুট খেলা চলে মউ-মউ মৌমাছি ক্যাম্পাসে।
ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি উড়ে প্রশস্ত বারান্দায়।
টেরিজা শিক্ষা আয়তনে চলে উদ্দাম নৃত্য।
কিছু ছেলে জামা খুলে খালি গায়ে;
কিছু মেয়ে পুরো হাত কাটা জামা গায়ে
নেচে চলে, নাচ চলে মুক্তির মহানন্দে!
এভাবেই স্কুলের প্রশ্রয়েই চলে ‘নাইট্রোজেন-বন্ধন’।
‘টয়লেট গল্প’ থাক টয়লেট দরজায় বন্ধ!
এসব-ওসব চলে তবু জানি-না কেন
কিছুজন চিরকাল কনভেন্ট আফিমে আচ্ছন্ন!
অশিক্ষিত এই কবি মনে মনে কেঁদে যায়;
বিষ মেশা প্রাণবায়ু কেন কিনে নেয়
মুঠি মুঠি অপার অভিলাষী প্রতিবাসী!
হায় হায়! আরও কতকাল কে জানে
প্রতিবাদ ঘুমিয়ে থাকবে পঙ্গু গর্ভাশয়ে!
(এই প্রতিবাদী কবিতাটি ছড়িয়ে যাক সব পাঠকের সব পরিচিত মানুষের মধ্যে)