"ছোটোবৌ পেটে ভারী", পরণে টুকটুকে লাল শাড়ি, ভাবখানা যেন আহ্লাদী কনে, আহা লাজে মরি, মরি!
তিনগুণ বেশী প্রোটিন, দুগুণ বেশী ক্যালশিয়াম,
ঐটুকু পুঁচকে শরীরে রেখেছে যে ভারী যত্ন করি !
আদিবাসী সীমের মতোই এ যে আলু আদিবাসী,
উত্তর আমেরিকার নাকি এরা প্রাচীন অধিবাসী।
প্রমাণ পাওয়া গেছে এগারো হাজার বছর আগে,
এই আলু তখন লোকে, চাষ করতো ভাগে ভাগে।
প্রতিকূল পরিবেশে এর ফলন হয় যে ভালো,
তাই তো সেখানকার কৃষকের মুখে জ্বলে আলো।
রুক্ষ, শুষ্ক মাটিতে অন্য ফসল ফলানো যে ভার,
তাই চাষী ভাইরা এদের আপন করে নিয়েছে আবার।
শীতের বাজারে যখন চন্দ্রমুখী, নৈনীতাল, সুন্দরী, হল্যান্ডের লাল আলু থাকে ভরপুর, ঝুরি ঝুরি।
দেশী গোল আলু শেষ হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি,
সকলেই জানে, আলুর দম করতে নেই এদের জুড়ি।
কিন্তু অনেকের কাছেই জাম আলু এখনও অচেনা,
প্রায় পঞ্চাশ টাকা কেজি বলে একটু মুশকিল কেনা।
কি করা যাবে, খুব বেশী সাপ্লাই নেই যে বাজারে,
এক মুঠো তে খান দশ বারো এঁটে যায় একেবারে!
দেখতে ঠিক যেন লাল হল্যান্ড আলুদের লিলিপুট,
সেদ্ধ করার পর একটু কষ্ট করে ছোলো করে খুটখুট।
আলুর দম রাঁধার পর সেই খাটুনি একদম উশুল !
খেতে গিয়ে ভোজন রসিকের চোখ করবে জুলজুল।
দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি আর কোচবিহারের মাটি,
এই আলুর জন্যে উপযুক্ত, কথাটা একদম খাঁটি ।
পাইকারদের বাজারের খেলা বোঝা বড়ই মুশকিল,
চাষী কতটুকু টাকা পায়, কিল খেয়ে করে চুরি কিল।
উপকারী আর সুস্বাদু আলু কিনতে রাজি অনেকেই,
দাম দিতে চাইলেও, যায়না পাওয়া, বলে সকলেই ।
কার কোথায় দোষ, চলে চাপান উতোর, শেষ নেই !