শুভ্র ধুতি-পাঞ্জাবী পরিহিত, শ্মশ্রুমুণ্ডিত,
সৌম্যদর্শন অম্বিকাবাবু, হেড মাষ্টারমশাই,
প্রথম দেখি, চতুর্থ শ্রেনীতে যখন ভর্তি হতে যাই।
প্রত্যেকের সামনে আলাদা আলাদা কাঠের ডেস্ক ।
হাই বেঞ্চ, লো বেঞ্চ, ড্রয়ার ছেড়ে, এ কোথায় এলাম !
আসন পিড়ি হয়ে চটে বসতে গিয়ে অবাক হই বেশ !
তবে ওখানে ছিলাম অনেকের মধ্যে নগন্য, তুচ্ছ ,
আর এখানে নিজেকে বেশ বিশেষ হিসেবে পেলাম।
শিক্ষকেরা আন্তরিক, ভালোবাসার নেই শেষ !
শিক্ষকের স্নেহ সাধারণকে করে তুললো প্রথমা,
'বাঘ নেই বনে হরিণ রাজা' দিক না লোকে উপমা ।
রিহার্সালের পর, রবীন্দ্র জয়ন্তীতে মাষ্টারমশাই,
"আমসত্ত্ব দুধে ফেলি"  ছড়াটি আবৃত্তি করালেন।
কি জানি, কি যে উনি আমার মধ্যে দেখেছিলেন !
সেই প্রথম খুঁজে পেলাম কবিতার মধ্যে মজা___
কি করে যে ধীরে ধীরে কবিতাকে ভালো বাসলাম!
সিলেবাসের নতুন বই এর সব কবিতাই শুধু নয়,
দাদা, দিদি, মামা, মাসি, যখন যার বই পেতাম,
কোথাও কবিতা দেখতে পেলেই পড়ে ফেলতাম।
কথা সরিৎ সাগরের সাথে চেয়েছি সাগর কবিতার,
পেয়েছি, পড়ার ইচ্ছে, সময়, ক্ষমতা কোথায় আমার!
ভেবেছিলাম আবার একদিন দেখা করতে যেতে হবে,
অম্বিকা চরণ দাস,কেমন আছেন উনি, জানতে হবে ।
শিক্ষক দিবসেই নয়, কোনোদিন আর দেখা হবে না,
ইচ্ছে টা মনে থেকে গেল, জানলাম, যাওয়া যাবে না।