বৈশাখীর বয়েস কম, ওর আর কতটুকু দোষ !
রোজ রোজ কাজের বাড়িতে আসা,
ঘষে ঘষে ন্যাতা দিয়ে পরিস্কার করে ঘর মোছা !
শীতের দিনে ভালো কি লাগে ! উপায় নেই তাই....
রাগে বা দুঃখে করুক যতই ফোঁস ফোঁস !
বৌদিমণি যে ঠাণ্ডায় একেবারে গুটি শুটি,
ভালো জলখাবার ! আপাতত সেই গুড়ে বালি !
চলছে রোজ ফ্যানাভাত, হাইবারনেশন !
নেই কোনো পিঠে-পুলি-পাটিসাপটা, বা পায়েস।
তাই তো মুখ ফুটে চেয়েছিল কদিনের ছুটি,
যদি কদিনের তরে যাওয়া যায় কুটুমের বাড়ি !
শুনে বৌদিমণির চোখ উঠেছে কপালে,
যেন পড়ে গেছেন একেবারে অথৈ জলে !
"বলিস কি বৈশাখী, তোকে ছেড়ে কি থাকতে পারি !
কদিন পরের আশা দিয়ে, করে দেন ওর ছুটি নাকচ,
বৈশাখীর মনটা তবুও করে, কেমন যেন খচ খচ ।
কাজের ফাঁকে এসে বলে, "চল না গো বৌদি____
তুমি আর আমি দুজনে মিলে, আমের বাড়ি যাই !
কোথাও বেড়াতে গেলে একা নাকি যেতে নেই ।"


"আমের চাটনি, আচার নয়, আম জনতাও নয়,
একেবারে আমের বাড়ি ! সেটা আবার কোথায়?"


"ওমা ! তাও জান না ! সে তো অযোধ্যায় !
থাকা খাওয়া সব ফিরি ! এ সুযোগ কি কেউ হারায় !"


এবারে সঞ্চিতার মনে পড়ে বৈশাখী র বলতে পারেনা,
আগেকার রাম রাজ্যে হয়ত ভি. আই. পি. ছিল না !


"ওরে বৈশাখী অত স্বপ্ন দেখিস না, কিছুই ফ্রি হয় না,
ধরতে পারলে পেঁদিয়ে বৃন্দাবন পাঠাতে ছাড়বে না ! "