কাগজের তৈরি কোনে কেনা, খোসাসহ বাদাম ভাজা,
আহা, দু আঙুলের চাপে ভেঙে খাওয়ায় কি মজা !
সিনেমাহলে, মাঠে ময়দানে অথবা বন্ধুদের আড্ডায়,
এই ফার্স্ট ফুডের কি আর কোনো তুলনা হয় !
ভাগাভাগি করে খেয়ে সময়টা বেশ কাটানো যায়।
প্যাকেটের বা কৌটোর সাদা সল্টেড বাদাম,
খেতে ভালো বটে, কিন্তু মজা যেন একটু কম কম।
তবে এই ফাঁকে একটা মজার কথা বলা ভালো,
ছোটোবেলায় কলকাতায় সেই বার চিড়িয়াখানায়,  বেড়াতে যাওয়াটা আমার কি করে সার্থক হলো !
এতদিন জানতাম বানরেরা মানুষের নকল করে,
বানরে এবার আমায় দেখায় আলো, যেন কান ধরে।
এক একটা বাদামের লাল পাতলা খোসা নখে ছুলে,
তবেই দেখি সে দেয় তার নিজের শ্রী মুখে তুলে!
কারণটা জানুক বা না জানুক, প্রকৃতি ওদের শিক্ষক,
জেনেছি একথা আমি, তাই তো ওরা এতো নির্ভিক।
কথাটা একদম সত্যি,মানুষ যতই ওদের ঠাট্টা করুক।
তখনকার লোকাল চানাচুরের কোম্পানির মালিক,
দেখতে ভালো লাগার জন্যেই বোধহয় ভাবতো __
ভাজা বাদামের পাতলা লাল খোসাটা নাহয় থাক,
চাইতোনা, মানুষের হজম শক্তি গোল্লায় যাক,
ইচ্ছে, শুধু চানাচুরের বিক্রিটা একটু বাড়ুক।
তাতে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়বে তাদের ইনকাম !
তবে এখনকার মানুষ বোধহয় অনেক বেশি সচেতন,
জানে, ভাজা বাদামের চেয়ে উপকারী কাঁচা বাদাম।
মনে করে রাতে তাই গিন্নিরা, বাদাম জলে ভেজান,
খাবার আগে ভেজা বাদামের খোসা ডলে ওঠান ।