নিজের হাতের ওপর হাতটি রেখে একা নিঝুম ঘরে,
দন্ড দুয়েক বসতে চাই, তা আর পারি কোথায় ওরে!
নিজের মনে কথা বলার, একটু ভাবার সময় কোথায়,
আমায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে,সময় ঠিকই বয়ে যায়। মাঝে মাঝে সময় পেলে যখন আয়নায় তাকাই,
চলে যাই কিশোরী বেলার সে মুগ্ধতায়, অকারণেই।
বেশ খুশি হই নিজের সাথে লুকোচুরির এই খেলায় ,
একা একাই ইচ্ছেমত নানা রঙের মুখোশ পাল্টাই।
সেই যে দেওয়া, নেওয়া কুলের আচার হজমি গুলি,
বন্ধু-বান্ধব আমার যত, কোথায় যে সব চলেই গেলি !
হাতাপাতি হা হা, কাক ডাকে কা কা, রসকষবুলবুলি,
হাতে ছুঁয়ে তেমন নির্মল আনন্দ আর কি পেলি ?
কি করে যেন সবাই দিনে দিনে বড় হয়ে গেলাম,
মনে সঙ্কোচ এলো, সমাজের নিয়মে বাঁধা পড়লাম।
পাছে লোকে কিছু বলে, হয়না একসাথে পথ চলা,
হাতে হাত রাখা দূরের কথা, বারণ ফোনে কথা বলা ।
এখন মোবাইল ফোন আছে সবার হাতের মুঠোয়,
কারো সাথে যদি যোগাযোগ হয় সোস্যাল মিডিয়ায়!
হারিয়েছে সব, আগেকার সেই মনের টান কোথায় ?
গুড মর্নিং আর শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়া কথা নেই,
সবার হাড়ির খবর থাক সরা চাপা,জানার আছে কি!
সকলেই যেন ভালো থাকে, তাহলেই আর চাই কি ?
বৃষ্টির জলে মনে মনে শুভকামনার নৌকো ভাসাই,
সকলেই নিজেদের যত হাসি কান্না আছে,সব লুকোই,
মুখোস পরে থাকি,আজ প্রাপ্তমনস্ক জানি সকলেই।
হাতে হাত রেখে মিথ্যে প্রমিসের আর দরকার নেই,
জানি, চোখের জল পড়তে চাইলেও তা ফেলতে নেই।
তা দেখে যে অনেকেরই যে শুধুই ন্যাকামো মনে হয়,
হয়েছে তো বয়েসের সাথে, যথেষ্ট অভিজ্ঞতা সঞ্চয়!
ফিরে যাওয়া যে যায়না পেছনে, এ তো জানা কথাই,
তবুও কিছু মিষ্টি গোলাপি মুহুর্ত যেন হাতছানি দেয়।