কক্ কক্ কক্ কঅঅঅঅঅক কক্ কক্ কক্ কক্,
শিক্ষিত মানুষের মতে,অশিক্ষিতরা নাকি গেঁয়ো ভূত!
পাগলের বা আমার মত, একটু বেশিই করে বকবক।
প্রান্তিক মানুষদের কথা এলেই আসে ভোরের কথা,
ওদের পোষা মোরগের ডাকেই তো ঘুম ভাঙার কথা।
আসে ওদের উঠোনের ক্ষুদ, কুঁড়ো, সরলতার গাঁথা !
দেশী মা মুরগী আর তার ছানাপোনা দের খুঁটে খুঁটে,
খাবারের সাথে কাঁকর বা অমূল্য রত্ন গেলার কথা।
"হয়েছে সকাল, উঠুন ভূপাল, মোরোগেরা ডাকে ___
..............চবাতুহি চবাতুহি, চ চ চবাতুহি.........."
এমন অদ্ভুত কথা শুনে পেতো হাসি, হি হি হি হি !
খুব কাছ থেকেই তো ছোটোবেলাতে ওদের দেখেছি ,
বাবাকে ওরা ভক্তি শ্রদ্ধা করে, ভালোও অনেক বাসে,
কিন্তু ভূপাল কাকুর সাথে ওদের গলায় গলায় ভাব ,
যেন একটু বেশিই আপন,বন্ধুত্বটা যেন একটু বেশিই!
সাহিত্যের ক্ষেত্রেও দেখেছি বঙ্কিমচন্দ্রের কুক্কুট___
বোঝেন আর কয়জন, ভদ্রলোকেরা চেনেন চিকেন।
হাট থেকে দেহাতি মানুষের কাছ থেকে মুরগী কিনে,
সাধারণ মানুষরা তো সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফেরেন।
রামনারায়ণ তর্করত্নের নাটকে, তাঁর কলমের খোঁচায়
রুক্মী যেন অভিজাত সম্প্রদায়ের প্রতিভূ, তার চোখে,
"আমার ভগিনীর বরপাত্র কি সেই রাখাল, গয়লার ছেলে? তাকে জানে কে? চেনে কে? সে কি মানুষ ?
তার জাত কি? জন্মের ঠিক কি?" এসব কথা বলেন।
ব্যক্তিত্ববান কৃষ্ণ যখন কালো চামড়ার, ঘরের ছেলে,
কথাও তখন তার, কেমন যেন একটু এলে বেলে ।
কনফিডেন্সের একটু অভাব,এমনই যেন তাঁর স্বভাব।
"দেবর্ষি....................তা কি করে বিবাহ করি,
লোকে যে আমাকে, কালো বলে মেয়ে দেয় না____"
আসলে তিনি প্রান্তিক মানুষের মনের দুঃখ ও ব্যাথা,
নাটকের সংলাপের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।