কাক বেসুরো? অবজেকশন ! হতে পারে কর্কশ,
গায়ক পাখি কাকের গান! এতে আছে গানের রস।
সত্যিই হেঁড়ে গলাতেও গান ক'রে, করা যায় বশ,
জেনে রাখো সকলে, করভাসের আছে ভয়েস বক্স!  
কোলকাতার "উষা উত্থুপ" দিদির গলায় সুর খেলে,
উদারা, মুদারা ও তারায়, একই ভাবে অবহেলে।
সময় ও পরিস্থিতি বুঝে কাক গলা পাল্টায়,
বিপদের আভাস পেলে চিৎকারে পাড়া মাতায়।
কাক তো বাঁচে মানুষের ভরসায়, এই দুনিয়ায় !
কারো বিপদে স্বজাতিকে ডাকে ওদের ভাষায়,
রীতিমত নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বসায়।
সমাজের হোমরা চোমরারা ওখানে বক্তৃতা দেয়,
সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, যার যার কাজে লেগে যায় ।
"বেল পাকলে কাকের কি" একথা কি এমনি বলা হয়,
বেলের খোলা যে ওপর থেকে বড়ই কঠিন মনে হয়।
কিন্তু ভেতরটা ?  আহা! অমৃত! একথা বলতেই হয়।
বেল গাছ থেকে পড়ে, যদি ফেটে চৌচির হয়ে যায়!
কাক তখন কিন্তু পাকা বেল বেশ মজা করেই খায়।
জানো কি? কাক কে যে গায়ক পাখি বলা হয় !
আমাদের বাড়ির আমগাছে কাকেরা বাসা বানায়।
তাদের ভাষা যে শুধু কা, কা, কা, তা মোটেও নয়।
সারা দিনমান তারা নানান সুরে গান গায়।
কখনও কা, কখনও ক, কখনও কক্ কক !
কখনও মা, কখনও মাআআআ,
কখনো কুও কুও ওওওও,
কখনো আবার বেড়ালকে নকল করে, মিঞেওউ!
ছাগল ছানার মতোই গলা কাঁপিয়ে বলে ম্যেঞে___!
আরও যে কতো মধুর মধুর গান শোনায় ।
আমার পক্ষে তো ওদের সুর নকল করা সম্ভব নয় ।