আমরা সকলে বর্তমান যুগের শিক্ষিত বেকার,
চাকরি দিতে পারেনি আমাদের কোনো সরকার।
পড়েছি মনযোগ দিয়ে বেকার তৈরীর কারখানায়,
প্রতিষ্ঠিত হয়ে চলেছে প্রচুর স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়।
ওখান থেকে ভালো রেজাল্ট করে বেরোলেই হয়না,
চাকরি চাইলেই শুনতে হয় লাখ লাখ ঘুষের বায়না।
আজ তাই কনেরা শিক্ষক পাত্রের বউ হতে চায়না,
সন্দেহ,শিক্ষক পাত্রের বাবার আছে দুনম্বরি কারবার,
জেনে শুনে এমন ঘরের গৃহবধূ হবার কি দরকার !
লোভের ফাঁদে পা দিয়ে এমন বিয়ে করেও মুশকিল,
আরো টাকার লোভেই বধূ নির্যাতন, খেতে হয় কিল,
মেরে টাকা আদায় করে, খরচটা করতে চায় উশুল।
নোবেল প্রফেশন ছিলো আগে ডাক্তারি ও মাস্টারি !
এখনকার কোচিং সেন্টার আর ডাক্তার নাকি কসাই,
পাড়ার দোকানদারেরা সকলে করেন কম্পাউন্ডারি !
চাকর হতে চেয়েছি,রাজা গজা হবার বাসনা ছিল না,
তাই বোধহয় নিদারুণ ভাগ্য আমাদের সাথ দিল না।
বেকারত্বের জ্বালায় আজ খুচরো ইনকামের টাকায়,
মেধা বেচে, গাঁজা-হাসিস-হেরোইন-মারিজুয়ানা খাই।
চীন দেশে বারো বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ ছিল,
সেই সুযোগে সকলে হাতেকলমে শিক্ষা নিয়েছিলো।
প্রত্যেক বাড়ি হয়ে উঠেছিল ছোটো ছোটো কারখানা,
আমরা সেভাবে চাইলে তেমন কাজ শিখতে পারিনা !
আছে আমাদের দেশে যথেষ্ট মেধা ও মানব সম্পদ,
সময় বয়ে যায় এখানে বৃথা,বেড়ে ওঠে বেকারত্ব পদ।
যে শিশু জন্মায় আজ, ভাবো তার কি হবে ভবিষ্যৎ ?
এতদিন যারা করে এসেছো ভুল, দাও নাকে খৎ ।
মন্ত্রী হলে পকেট ভরা যায় জেনে গেছি, আমরা তাই,
বেকার হয়েও সদাই মন্ত্রীর পাশাপাশি থাকতে চাই।
জানি মন্ত্রীমশাইয়ের একা, এক পা চলার উপায় নেই,
খাতির করেন তিনি তাই,এই বেকারদের অকারণেই !
মেশিন রাখতে আমাদের তো লাইসেন্স দরকার নেই।