যত্নে লালিত ফুটন্ত ফুলের গাছ তখনই শান্তি পায়,
যদি বাগানের মালি তাকে দু একবার দেখে যায়।
সার, জল দিয়ে পরিচর্যা তো সেই, এতদিন করেছে,
ফুলের কলি আসার আগেই গাছকে ভালোবেসেছে !
ফুলের গন্ধে, শোভায় প্রজাপতি আর ওলি এসেছে,
তোড়ার জন্যে মানুষ দুচারটে ফুল কাঁচিতে কেটেছে।
কিছু পাতাবাহার ও ঝাউয়ের ডালকে সাথে নিয়েছে,
কয়েকটা বুনো ফুলের শীষ কেও একসাথে _____
কোনো এক নাম না জানা সবুজ লতা দিয়ে বেঁধেছে।
একগুচ্ছ ফুলে সাজানো তোড়াটা শোভা বাড়াতে,
দামী, সুদৃশ্য এক পেতলের ফুলদানিতে রেখেছে।
ফুলদানির নীচের দুষ্টু টেবিলটা মনে মনে হাসছে,
এসব কান্ডকারখানায় সে হতবাক হয়ে ভাবছে,
ভাবছে, ফুলগুলো কয়দিন আর থাকবে তাজা ?
বাসি হলে তো লোকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে, ভারী মজা !
এই কি ওদের ভালোবাসা ? হুঁঃ, যত সব আদিখ্যেতা,
সবই ঢং, পুরোটা লোক দেখানো, এ আসলে ভনিতা।
গাছে থাকলে আরও বেশী সময় ফুল থাকে ভালো,
একগুচ্ছ ফুলে বোঝা কঠিন কার দম আগে ফুরালো,
কে জানে ফুলদানির জলটা কি আদৌ পাল্টালো !
ফুলদানির ভেতরে ফুলের বোঁটায় জল যথেষ্ট নয়,
ওপর থেকে ভালোবাসার বারি সিঞ্চনও দরকার হয়।
প্রেমের কবিতা দের যায় কি আর তোড়ায় বাঁধা ?
কবিতা ও প্রেম দুজনেরই পছন্দ আসলে স্বাধীনতা।
একদলে বেশী হলে শুধুই গুঁতোগুঁতি আর ঠেলাঠেলি,
মন ভাবে কাকে যে রাখি আর কাকে যে ছুঁড়ে ফেলি !
তার চেয়ে ভালো বাপু থাকুক না কদিন বাগান খালি,
শরীরটাও কৈফিয়ত চায় , কত রাত বল্ জাগলি ?
জানিস তো ভালো করেই, তোর কথা, ভাবি পাগলি।
লেখার তাগিদে যে শেষে নিজের জীবনটাকেই ____
দেখি এক আস্ত কমিকসের সিরিজ বানিয়ে ছাড়লি !