আমরা এখনও যাই কোথাও হলে হরির লুট,
তালি দিই, হরে কৃষ্ণ হরে রাম, করি গান।
পারলে দুই পাঁচ টাকা প্রণামীও দিই,
বাবু-বিবিরা, অবশ্য এসবে নাক সিঁটকান।
মন দিয়ে শুনি, মোহান্তরা যা দেন প্রবচন,
বুঝি, বা না বুঝি, ওনারা গুরুজন !
শিক্ষিত দুই চার জন, পারে হয়তো ভুল ধরতে,
কিন্তু তারাও জানে, কারো মনে হয় না কষ্ট দিতে !
সখ্য ভাব, মধুর ভাবের পথে যাইনা,
অনুগত থাকি, আমরা তো দাসানুদাস !
সেবক খোদ ভগবানের, একদম খাস !
হরির লুটের বাতাসা রাখি শাড়ির আঁচলে বেঁধে,
ধুলোটের সময় গড়াগড়ি যাই, বসন ভিজাই কেঁদে।
নিজে বাতাস পাই বা না পাই,
গোপালের খাওয়ার সময় হাওয়া দিই।
মৌসুমি ফলমূল জোটেনা বাড়ির গোপালের,
আছে আমাদের ঘরে মজুত হরি মটর।
দিন, রাত কয়েক ঘন্টা করে ওখানে বসে কাটালেই,
ভোগের অন্ন কিংবা খিচুড়ি জুটে যায়।
কি করি! গরীব, কাজ চাইলেও পাই কোথায়!
বড়লোকদের উৎসব অনুষ্ঠানে আগের মতো কই, "দরিদ্র নারায়ন সেবা","কাঙালী ভোজন" শুনতে পাই!
তার মানে, দেশে আর গরিব মানুষ বলে কেউ নেই !
যেভাবেই হোক, দুবেলা দুমুঠো খেতে পায় সকলেই ?
ওয়ার্ডের কমিশনার দেখি শত টাকা প্রণামী দেয়,
শুনেছি গরীব মানুষ, বসবাসের জন্য পাকা ঘর পায়।
কিন্তু পেতে গেলে আগে জমি, আর টাকা থাকা চাই !