শরতের মেঘের মতো যদি জীবনে ভাসতে চাও,
কৃষ্ণ কে স্মরণ করে লড়ে যাও।
অলসতা ত্যাগ করে একটু লাফাও, ঝাঁপাও,
ইচ্ছে হলে নাহয় একটু বাঁশীও বাজাও।
আসল কথা হলো শরীরটায় দিওনা জঙ ধরতে ,
কাজ করতে করতে অবসর কাটাও।
জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের জীবনযুদ্ধ হয়েছিলো শুরু,
সারাটা জীবন ধরেই যুদ্ধ করেই,
যে বেঁচে থাকতে হয় এই কথাটাই শেখান সদ্ গুরু।
সেই জন্যেই অলসতাকে বলা হয়েছে রিপু,
অলসতার জন্যেই গঠন হয় বিশাল বপু।
তখন তো নড়া চড়াও হবে মুশকিল,
হাতে পায়ে লাগবে যখন তখন খিল।
বেশিদিন যদি সুস্থ থেকে চাও জীবনটা কাটাতে,
শরতের আকাশের মেঘেদের মতো,
চাও একটু আনন্দ সাগরে ভাসতে______
তাহলে জীভটাও একটু করো সংবরণ।
দয়া করে ডেকোনা শিগ্গির করে ঐ মরণ !
মানুষ যে মরণশীল এটা তো জানা কথা,
কি দরকার তাড়াতাড়ি ব্যাপারটা ঘটিয়ে অযথা !
শরতে যে শশা মিঠা, জানো কি এই কথা?
পারলে আজ কৃষ্ণ ঠাকুরকে শশা ভোগ দাও,
আর নিজেরাও পুরো শরতে তাঁর প্রসাদ শশা খাও।
যদি না পাও অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো,
অন্ততঃ সজনে গাছের পাতা তো খেতে পারো!
খুব জরুরী সারাদেহের রক্তনালী পরিষ্কার করা,
আটকাতে যে হবে ওদের জঙ পরা।
কৃষ্ণ তো নিজের জীবনচর্যার মাধ্যমে,
দিয়েছেন দেখিয়ে চাইলেই বাঁচা যায় ভালোভাবে,
শুধু থামলে চলবেনা, কর্ম করে যেতে হবে।
এই পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া মানেই যুদ্ধ শুরু হওয়া,
শুধু ইচ্ছে টা থাকা চাই, চাই আনন্দে বাঁচতে চাওয়া।