দুঃখের কথা কি আর বলবো তোমায়, ও মা কালী !
আজকাল অচল হতে চলেছে কাগজ-কলম-কালি।
কালি-পটকা, দিশি ধেনো কারণ বারির বাড়াবাড়ি,
কালীতলা,আমাদের পাড়া, তোমার নামের ছড়াছড়ি।
আয় রে আয় মায়ের যত ডাকিনী,হাকিনী,পিশাচিনী,
চলে আয় যত আছিস তোরা গেঁয়ো ভূতেদের দল ।
আজ মন খুলে মাকে তোরা তোদের মনের কথা বল !


শ্মশানে নাকি তোদের থাকার জায়গার অভাব ?
পার্ক হয়েছে, ফুলের বাগান আর আলোতে ছয়লাপ !
বাকি আছে শুধু হাউসিং কমপ্লেক্স আর শপিং মল ।
ছাতিম গাছটা বাড়ায় পথের শোভা, বটগাছে পূজো,
শিমুল গাছটা তো কবেই কেটে কুটে হয়েছে সাফ___
উধাও আগেকার করুণ সুর, শকুন ছানাদের কান্নার,
দেখা মেলেনা আর সেই সব বিজ্ঞ বুড়ো শকুন কুঁজো।


অবস্থা বেগতিক বুঝে হয়তো ওরা গুটিয়েছে সংসার,
এই পৃথিবীতে একদিন যখন মরতেই হবে, কে কার !
মানুষের গড়া এইসব সংসার তো মায়ার,সব অসার ।
খিচুড়ি ভোগের দিন আজ প্রায় চলে যেতে বসেছে,
ফ্রায়েডরাইস,বাটারছোলে,কষামাংস,চাটনি,মিষ্টান্ন!
এ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের প্যাকেটে মায়ের সেবকেরা,
ভালোবেসে বাড়ি বাড়ি স্ব-ইচ্ছেয় পৌঁছে দিয়ে গেছে।


ভূতেদের পছন্দ করুক বা না করুক, নাই বা মানুক,
ভূত-চতুর্দশীতে বাজারে চোদ্দ শাক পাওয়া গেছে !
যার যার ইচ্ছে, পাঁচ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে গেছে।
বাড়িতে গিন্নিরা এক একটা করে পাতা গুনেছে !
সন্দেহ যে বড় রোগ, বোঝা দায় কে কাকে ঠকাচ্ছে ?
অনেকেই বলে থাকেন, " ঈশ্বর থাকলেও থাকতে___ পারেন, এই দুনিয়ায় ভূত-পেত্নী কি আদৌ আছে ? "