জানো বাবা ! আমাকে আকাশে ছুঁড়ে দেবার কথা, এখনও কিন্তু আমার, মনে আছে বেশ।
খুব মজা হতো, খুব শিগগিরই সময়টা হতো শেষ  !
ভরতোনা মন, শুধু মনে হতো কেন পাখির মতন _
দুটো ডানা নেই আমার?
তাহলে নিশ্চয়ই তোমার কাছে অত তাড়াতাড়ি
আমায় ফিরতে হতো না তখন ।
ফিরতাম আমার খুশিমতো সময়ে।
ডানা দুটো মেলে উড়ে উড়ে দেখে নিতাম
আমাদের এই বিরাট পৃথিবীটা কে ততক্ষণ ।
উড়ে যেতে গিয়ে মেঘেদের সাথে হয়ে যেতো দেখা, আলতো হাতে ছুঁয়ে দিতাম ওদের বাড়িগুলো একা ।
কথা ছিল চাঁদ মামা, দিয়ে যাবে টিপ,এই আমাকে।
কেন যে এতদিনেও আসেনি সে?
কথাটা একবার জিজ্ঞেস করতে হবে তাকে।
আরেকটা কাজ মনে পড়ে যায় মাঝে মাঝে,
তোমার কাছে শোনা সেই গাছটা কোথায় যে আছে?
অনেকদিন খুঁজেছি, তাও পাইনি দেখতে এখনও। ফল, পাতা, ফুল কিচ্ছু নেবো না, একটুও ছোঁবনা, শুধু একটু দেখতে চাই রূপোর সেই গাছটাকে,
সোনার পাতা,ফুল,ফল সব তৈরি হীরা,পান্না,মানিকে।
কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়েছি কতদিন, রাজপুত্তুরের সেই পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়ে পথ চলা_ মাঠ পেরোনো তার, শেষ হতোনা কিছুতেই,
শেষ হতো না তোমারও সেই গল্পটা বলা।
যাচ্ছে তো যাচ্ছেই..... যাচ্ছে  আর যাচ্ছে।
কত মাঠ, নদী বন পার হয়ে যে সে চলছে ___
কোত্থাও না থেমে, সেই পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়ে।
এত বড় এ পৃথিবীতে আছে যত পথ,বন,নদী, ঘাট,
আছে যত সব গাছপালা,পশু-পাখি, বাজার বা হাট,
দেখে নেবো আমি সবকিছু শুধুই উড়ে উড়ে।
কেন যে রাজপুত্তুর চলে এতো ধীরে, ধীরে ___
ঘুম পেয়ে যায় যে আমার,‌ জেগে রই কি করে !