গঙ্গা ভেঙে ভাগীরথী-পদ্মা হলেও তিস্তা বাঁচায় মান,
ঠিক যেন কাজলা দিদি, শোনায় ঘুম পাড়ানি গান ।
পাহাড়ে যেতে পথের ডান দিকে দেখেছি সবুজ জল,
আছে বুকে গভীর দুঃখ নিয়ে, তবুও করছে ঝলমল।
করতোয়া, পুনর্ভবা, আত্রাই এর সাথে নেই সংযোগ,
ভীষণ বন্যায় ঘটেছিলো মানুষের কতোই না দুর্ভোগ।
গঙ্গা-পদ্মায় নাই বা গেল, মহানন্দার স্রোতে মিশে,
হুরসাগর নদী তো এখনও আছে, লোক ভালোবাসে।
জীবনের মোর ঘুরিয়ে দিলো সতেরশো সাতাশী,
বলা হয়ে ওঠেনা এখন গঙ্গা বা পদ্মাকে ভালোবাসি।
চলন বিলের জলের ধারা, নেই তো আগের মতো, নদীর গতি পাল্টে গেলে কি করে রয় তা অব্যাহত।
তিস্তা চিনেছে ব্রহ্মপুত্র, আর হুরসাগরের চেনা যমুনা,
যার যেদিকে মন চায় যাক, কে করছে কাকে মানা ?
তিস্তার বুকে কত শত চর, কতবার জেগে উঠেছে,
উদ্বাস্তুরা সেথা ফসল ফলিয়ে, বাসা বেঁধে নিয়েছে ।
দেবেশ রায়কে ভোলেনি তিস্তা, ঠিক মনে রেখেছে !
করলার কালো জল সাদা করেও মুক্তি তো মেলেনি,
খাল কেটে, বাঁধ দিয়ে, জল নিয়ে আজও টানাটানি।
কাজলা দিদির মতো তিস্তা নদীও যদি বিলীন হয়,
কে শোনাবে পবিত্র নদী গাঁথা, বুঝিনা তো আমি হায়।



শ্রদ্ধেয় পঙ্কজ কুমার চ্যাটার্জীর তিস্তার প্রতি ভালোবাসাই উদ্বুদ্ধ করেছে এ লেখা লিখতে।