আদিকালে যখন সূতো কিংবা দড়ি ছিল না,
তখন কি আর জিনিষপত্র বাধা-ছাঁদা হতো না !
হতো অবশ্যই, মানুষকে কিছু না কিছু হতো বাঁধতেই,
তখন বাঁধার কাজ চলতো সরু-মোটা লতা দিয়েই।
ধানগাছ বা খড় দিয়ে বাঁধতে দেখেছি ধানের আঁটি,
কলা গাছের সেটকুল, সেও তো এক সূতো খাঁটি !
এখনও মাঝে মাঝে বাজারে শাক-পাতাদের দলে,
বাঁধা থাকে সূতলির বদলে খড় অথবা সেটকুলে !
অবশ্য নাইলনের দড়ি দিয়েও কেউ কেউ দেয় গেঁড়ো,
খুলতে গিয়ে আমাদের আঙুলের দফা-রফা__মরো !
অথচ গ্ৰাম-গঞ্জের সে খড় কিংবা সেটকুলের বাঁধনে,
দরকার পড়ে না কোনো আন্ধা বা ফোসকা গেঁড়োর,
সামান্য পেঁচিয়ে গুঁজে দিলেই,কাজ সারা হয় খুড়োর।
গাঁদাল লতা আজ, সেটকুলে বাঁধা ছিল এভাবেই,
মনে পড়ে, কি ঘেন্না অনেকের,এঃ গাঁদাল পাতা খাই !
নো সর্টকাট ! স্বাদ গায়েব কিন্তু মিক্সিতে পিষলেই,
সুতরাং ভরসা, এই আদি ও অকৃত্রিম শিল-নোড়াই।
আধুনিক পদ্ধতি স্বাগতম, কিন্তু কিছু কিছু ছাড় চাই,
আদি কিছু জিনিষ ব্যবহারের, সত্যিই তুলনা নেই !
সেটকুল,শিল-নোড়া,কাগজ,কলম বেঁচে থেকো ভাই,
যমদুয়ারে দিয়ে কাঁটা,বাঁচিয়ে রাখবে গুগল ভাইয়াই।