এমনভাবে কেউ কেউ তাঁদের জীবনে বেঁচেছিলেন,
কাউকে কাউকে হয়তো খুব ভালো বেসেছিলেন। হয়তো বা দোর্দন্ড প্রতাপে দেশ শাসন করেছিলেন,
তাই তাঁদের মৃত্যুর পরেও, স্মৃতি রক্ষার তরে,
কেউ মর্মর পাথরে নাম খোদাই করে,কেউ মূর্তি গড়ে।
কেউ বা শাজাহানের মতো তাজমহল তৈরী করে!
জীবনের পর যে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, তা জেনেও,
অবোধ মানুষ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে,
দখলের তরে, লড়াই করে কালের গর্ভে যায় হারিয়ে।
কিন্তু এসব স্হাবর স্মৃতির আয়ুই বা কত দিন?
কিছু যুগ পরে জায়গা পায় ইতিহাস বইয়ের অন্তরে।
ব্ল্যাক সি অথবা এজিয়ান নামে প্রাচীন সেই সমুদ্র !
মেসোপটেমিয়ার সভ্যতার পরেও কত যুদ্ধই দেখেছে,
রুশ-তুর্কি, সিরিয়া, পম্পেই, ট্রয়, কে মনে রেখেছে!
হিট্টাইট, বাইজান্টাইন, সেলজুক, অটোমান ভুলেছে।
তুরস্কের মাঝে বয়ে চলা ছোট্টো ছোট্ট দুঃখের ঢেউ,
মর্মর কে বুকে রেখে, মারমার সমুদ্র নাম দিয়েছে।
পূর্ব-পশ্চিমের মাঝে আনাদলু যোগাযোগ রেখেছে !টাঙ্গিয়ার এর ইবন বতুতার কথা খুব মনে পড়ছে,
উনি যেমন পড়তে ভালো বাসতেন তেমনই বেড়াতে,
কোথায় না গিয়েছেন তিনি, মিশর, চীন, সুমাত্রাতে!
তিনি বাকি রাখতে চাননি কোনো কোন্ পৃথিবীর,
নীতি নিয়েছিলেন যতটা সম্ভব বেশী জায়গা দেখার।
"কোনো রাস্তা ভ্রমণ করবেন না দ্বিতীয় বার!"
ভল্গা, নীলনদ, গঙ্গা, কত নদ নদী হয়েছে তার সাথী,
কত সাম্রাজ্যের উত্থান পতনে, হতে হয়েছে সমব্যাথী।
পাওয়া যায় যেমন কিছু কথা, আবার যায়না অনেক, প্রাণ গেছে নাকি তার মরোক্কোতে, কিন্তু বিবেক!
এক জীবনে সমস্ত পৃথিবীর সব শহর,আছে গ্রাম যত,
পাহাড়, সমুদ্র, দেশ বিদেশের নরনারী আমাদের মত!
সবকিছু ছোঁবার মত একটা মস্ত জীবন খুব দরকার,
কোনো ভয় নেই আর মৃত্যুকে, আসুক না তারপর !