শুনছো নাকি ও হে ! ও মিঠাইওয়ালা,
শুধুমাত্র এক ফানেলেতে দিয়ে গোলা !
ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কড়াইয়ের গরম তেলে,
কি করে বানাও তুমি জিলিপির শেকল-মালা !


কান্ড দেখে অবাক আমি, কাজটায় তুমি বেশ দড়!
হাতের আঙুলগুলো তোমার, যেন রেগুলেটর,
কখনো বেশি, কখনো কম, গোলা পড়ে ঝরঝর।
পাশ থেকে হঠাৎ করে, হেঁকে ওঠেন আমার বর ।


"কি ? নেবো নাকি ক খানা জিলিপি ? খাবে নাকি ?"
"না, না, কি মুশকিল ! আমি কি লোভ দিচ্ছি নাকি !"
"সে কথা নয় ! নিতে পারি যদি তোমার ইচ্ছে হয় ।"
"হুঃ তারপরেই তো বলবে,তোমার না আছে সুগার ! "


"আরে সে তো আমারও আছে,‌ কার নেই সুগার !
না খেলে, কি করে মিষ্টি বিক্রি করবে দোকানদার?"
এমন কথা শুনে, আমার মুখে আসেই একটু হাসি,
লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে খদ্দের রাশি রাশি ।


পেঁয়াজি,চপ আর জিলিপি কেনার ফাঁকে বলি,
"ও ভাই, তোমার জিলিপি বানানোর ছবি তুলি ?"
ঘাড় নাড়িয়ে সম্মতি দিতেই মোবাইল খুলে ফেলি,
একমনে আমি জিলিপি তৈরির ছবি তুলে যাই।


হঠাৎ অচেনা কেউ বলে,"ওরে,ছবি তুলছে যে তোর,
তাকা মুখ তুলে, তবে তো লাইক পড়বে পর পর" !
মিঠাইওয়ালা তুমি শিল্পী,মুগ্ধ তোমার হাতের কাজেই, আমি করতে চেয়েছি সম্মান,সে কথা কাকে বোঝাই !


মন্ডা, মিঠাই, চপ, পেঁয়াজি কিনে তো সকলেই খাই,
টাকা পয়সা যতটুকু দিই, দ্রব্যমূল্য ও পরিশ্রমটুকুই।
কিন্তু এর পেছনে যে শিল্প আর সেবা ভাব থাকে,
তার মূল্য কি আমরা দিতে পারি ওদের কাউকে ?