"ধন্য রাজা সীতারাম বাংলা বাহাদুর
যার বলেতে চুরি ডাকাতি হয়ে গেল দূর।
এখন বাঘ মানুষে একই ঘাটে সুখে জল খাবে
এখন রামী শ্যামী পোঁটলা বেঁধে গঙ্গা স্নানে যাবে॥”


দয়াময়ী ডাকাত দলের মোকাবিলা করেছিলেন,
তাঁর পুত্র রাজা সীতারাম বর্গী দস্যুদের সামলান।
কাটোয়ার মহীমতিপুরে মামার বাড়িতে তিনি জন্মান।
মুর্শিদাবাদ থেকে কর্মসূত্রে রাজমহল থেকে তাঁর পিতা উদয়নারায়ন তহশীলদার হয়ে ঢাকায় যান।
মধুমতী তীরে হরিহরনগরে, বাসভবন নির্মান করেন,
পরিবারের লোকজনকে তখন কাছে আনেন।
মামার বাড়ির কাছে পাঠশালাতে সংস্কৃত শিখলেও নিজের চেষ্টায় বাড়িতে তিনি বাংলা শেখেন।
তিনি চন্ডিদাস, জয়দেব বেশ পড়তে পারতেন,
একটু বড় হয়ে তিনি ফার্সীও শিখেছিলেন।
ঢাকার ভূষনায় মুসলমানের সংস্পর্শে উর্দু শেখেন,
লাঠিখেলা,অস্ত্র চালনা,অশ্বারোহনে পারদর্শী ছিলেন।
পিতার অকাল মৃত্যুর পর মাত্র চোদ্দ বছরেই সীতারাম রায়, ভূষনার জমিদার হলেন।
সীতারাম রায়ের কির্তী মানুষের মন করেছিলো জয়,
অবশ্য রামরূপ ঘোষ/মেনা হাতি ছিলেন তাঁর সহায়।
রাম সাগর, দুধপুকুর, একশ একরের কৃষ্ণ সাগর,
আরো কত পুকুর খনন, স্হাপন করেন কত মন্দির!
কিছু নেই হলেও দাঁড়িয়ে আছে আজো দোল মন্দির।
মুসলমান সেনাপতিদের তিনি "ভাই" বলে ডাকতেন।
মাগুরার লোকে আজও জানে রূপচাঁদ ঢালির নাম,
শিবরাম চক্রবর্তী, ফকির মাচ্চকাটা, বখ্তিয়ার খান!
সকল সেনাপতিদের সীতারাম করতেন যে সম্মান।
কালে খান, ঝুমঝুম খান নামে তাঁর ছিল দুই কামান,
ঘোড়ায় চড়ে যাবার সময় ঘোড়ার পা মাটিতে সেঁটে_ গেলে মাটি খনন করান এবং লক্ষ্মী - নারায়ন পান।
বাংলার ক্ষণিকের অতিথি ছিলেন এই জমিদার,
কর না দিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন ধর্মান্তরনের।
কাজগুলো করেছিলেন সম্পাদন খুব কম সময়েই,
এরকম জীবন যেন বোম-পটকা নয়, একদম হাউই!

"যত দ্রুত আমি করতে চাই তা পেরে উঠছিনা"
হ্যাঁ, মা সারদাকে বলেছিলেন বিবেকানন্দ এই কথাটাই।