কেউ বলেন চুল তোর একদম দুগ্গা ঠাকুরের মতন,
দেখতে খুব ভালো, সারাজীবন করিস একটু যতন।


আবার কেউ বা বলে এগুলো যেন ম্যাগী, দিবি ?
আমি তো মনে মনে রাপুনজেলের কথাই ভাবি।
রাপুনজেলের মায়ের শাক-সবজি খাবার লোভ,
আর সে কারণেই পাশের জমিতে বাবার চুরি করা।
রাপুনজেলকে করেছিলো পিতৃ-মাতৃ হারা।
তাই শাকসবজি ভালোবাসলেও মুখে বলতে নেই,
বললেও এভাবে,"ভালোবাসি অনেকটা যেন ছাই!"।


এই সুন্দর চুলের কারণেই হতে হয়েছিলো ঘর বন্দী,
ডাইনি এঁটেছিলো মনে মনে আটকে রাখার ফন্দি!
উঁচু বাড়িতে রেখে লম্বা চুলকে বানিয়েছিলো যেন মই,
কিন্তু রাপুনজেলের গানের সুর, শুনেছিলো যেই!
রাজপুত্তুর মিথ্যে বলেছিলো শেষে রাপুনজেলকেই।
তাই তো রাজপুত্র মিথ্যে বলার শাস্তি পেলো,
ওপর থেকে পড়ে গিয়ে চোখদুটো তার অন্ধ হলো ।


রাপুনজেলের চুল কেটে দিয়েছিলো সেই ডাইনি,
কিন্তু তার মিষ্টি গলা সময় কেড়ে নিতে পারেনি।
মরুভূমিতে গিয়েও,শত দুঃখের মাঝেও গান ছাড়েনি,
অন্ধ হয়েও রাজপুত্র রাপুনজেলকে খোঁজা ছাড়েনি।
একদিন নিশ্চয়ই দুজনের দেখা হবে, ছিলো বিশ্বাস,
মরুভূমির পথে রাজপুত্রের অবস্থা একদম কাহিল,
হঠাৎ করেই,রাপুনজেলের মধুর আওয়াজ,খুশ দিল !


দুই ভালোবাসার প্রাণের অবশেষে হলো মিলন যুগল,
পড়লো তার চোখে যেই রাপুনজেলের চোখের জল !
রাজপুত্র তার দৃষ্টি ফিরে পেলো,প্রেমটা ছিলো অমল,
গল্পটা পড়তে গিয়ে ছোটোবেলায় হতো মন টলমল।